শেখ বাদশা, আশাশুনি ব্যুরো : অসহায় গরিব ঘরে জন্মগ্রহণ করলেও থেমে থাকেনি তার লেখাপড়া। হতদরিদ্র পিতা শত কষ্টের মাঝেও মেয়েকে ডাক্তার বানিয়ে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করবে বলে এক বুক আশা বাঁধেন হতদরিদ্র পিতা মিজানুর রহমান। তিনি আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বড়দল গ্রামের বাসিন্দা।
হতদরিদ্র পিতা মিজানুর রহমান কান্না বিজড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে বলেন, ২য় দফায় ০৩ জুন-২৪ তারিখে চিকিৎসা শিক্ষা অধিদপ্তরে বেসরকারি এমবিবিএস ডাক্তার পদে তার মেয়ে ফারহানা নিগার সুমি আবেদন করেন। আবেদন পরবর্তী ২৪ জুন অসহায় পরিবারের কন্যা ফারহানা নিগার সুমি সাউথ অ্যাপোলো মেডিকেল কলেজ, বরিশালের জন্য নিশ্চিত হয়।
অসহায় পরিবার সকল সদস্যবৃন্দ ও অসহায় পরিবারের কন্যা ফারহানা ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকলেও মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়াশায় পরিণত হয় তাদের স্বপ্ন। হতদরিদ্র পিতার আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় মেয়ের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন যেন শুধু স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে। মেডিকেল শিক্ষার্থী ফারহানা নিগার সুমি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার পিতা একজন হতদরিদ্র অসহায় মানুষ। তিনি শত কষ্ট করে কামলা খেটে আমাকে লেখাপড়া করিয়াছেন।
কিন্তু বর্তমানে মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করানোর মতো আর্থিক সচ্ছলতা তার নেই। তাই তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সমাজের দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং বৃত্তশালী মানুষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। (মিজানুর- ০১৭১৬৬৯৯৫৯৫). বড়দল গ্রামের স্থানীয়রা জানান বড়দল বাজারের পোস্ট অফিসের পাশে জীর্ণশীর্ণ কুড়ে ঘরে বসবাস করেন মিজানুর রহমান ও তার পরিবার।
পরিবারের সকল সদস্যের মুখে দুবেলা দুমুঠো ভাত তুলে দিতে হিমশিম খেতে হয় হত-দরিদ্র মিজানুর রহমানের। চিকিৎসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে ২০২৩-২৪ শিক্ষা বর্ষে অনলাইনে সর্বমোট ১৪০৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। যার মধ্যে বিদেশী শিক্ষার্থী ৪৪১জন ও দেশি শিক্ষার্থী ৯৬৩ জন। এরমধ্যে হতদরিদ্র অসহায় ও মেধাবী কোটায় মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করে দেশের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে চান গরিব অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মেধাবী মেডিকেল শিক্ষার্থী ফারহানা নিগার সুমি।
