জনবল কম থাকলেও পাসপোর্ট প্রার্থীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে ডিডি মেহেদী হাসান
মোঃ আমিরুজ্জামান বাবু : মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা কে সামনে নিয়ে সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মেহেদী হাসান নিরলস ভাবে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় জানুয়ারী ২০২৪ থেকে জুন ২০২৪ পর্যন্ত সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিস থেকে এই ৬মাসে রাজস্ব আদায় করেছে প্রায় ১৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এখানে প্রতিদিন প্রায় ২০০/২৫০ আবেদন জমা পড়ে।
প্রতিদিন একই পরিমান পাসপোর্ট ডেলিভারি দেওয়া হয়। সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো: মেহেদী হাসান বলেন, আমি সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসে ৮/২/২০২৪ তারিখে যোগদান করি। সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসের প্রধান সমস্যা লোকবল সংকট। এখানে ১৮ জন কর্মকর্তা কমচারির স্থলে মাত্র ১১ জন দিয়ে কাজ করতে হয়।
একজন কর্মকর্তাকে দুই তিনজনের কাজ করতে হয়। তারপরও আমরা সাধ্যমত সেবা দিয়ে যাচ্ছি। যাতে কেউ পাসপোর্ট করতে এসে ভোগান্তির স্বীকার না হয়। সহ: পরিচালক ও উপ-সহ: পরিচালক সহ ৭জন লোকবল কম নিয়ে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে পাসপোর্ট করতে আসা মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
এসময় তিনি বলেন, সরকারী চাকুরী করি তাই বদলি আমার হতেই হবে যতদিন সাতক্ষীরাতে আছি এই পাসপোর্ট অফিসের একটু আমুল পরিবর্তন আনতে চাই। গত ৬ মাসে আমি সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসের সেবারমান বৃদ্ধির জন্য পাসপোর্ট অফিসে গুনগত কিছু পরিবর্তন এনেছি।
দালালমুক্ত ও কোন কর্মকর্তা কর্মচারি যাতে অনৈতিক সুবিধা না নিতে পারে তার জন্য পুরো পাসপোর্ট অফিসের সিসি ক্যামেরা সার্বোক্ষণিক সচল রেখেছি। গ্রাহকদের কষ্ট কমাতে বাড়ীতে বসে আমার সরকারী Whatsapp নাম্বারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে থাকি। এছাড়া আবেদন কারিদের ভোগান্তি কমাতে ই কউ (ইলেকট্রনিক কিউ) টোকেন সিলিপ দেওয়া হয়।
এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক ও অসুস্থ্যদের জন্য আলাদা কাউন্টারের মাধ্যমে বিশেষ সেবা দেওয়া হয়। প্রতিবন্ধিদের জন্য হুইল চেয়ারের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হয়। হেল্প ডেস্ক, জবাবদিহি বক্স ও যে কর্মকর্তা কর্মকারি আবেদনকারিদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে পারবে, মাসে পুরস্কারের ব্যবস্থা করা। এছাড়া রয়েছে অসুস্থ্য ও প্রতিবন্ধিদের জন্য কলিংবেলের মাধ্যমে সেবা দেওয়া। নিচ থেকে কলিংবেল চাপতেই সরাসরি ডিডি নিজে এসেই সেবা দিয়ে যান।
এসময় কথা হয় শ্যামনগর থেকে আসা রিয়াজুলের সাথে, তিনি বলেন আমার দাদা ও চাচা অসুস্থ্য। তাদেরকে নিয়ে আমি পাসপোর্ট অফিসে গিয়েছিলাম। প্রচন্ড ভিড় থাকায় আমি সাহস করে ডিডি সাহেবের রুমে গিয়েছিলাম।
তিনি যাওয়ার সাথে সাথে আমার কথা শুনে দ্রæত আমার ফাইলে সই করে দিয়ে বললেন নিচে যেয়ে ছবি তুলে চলে যান দ্রæত পাসপোর্ট পাবেন।
সাতক্ষীরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো: মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিসে আমি পাঁচ মাস যোগদান করেছি ভুলের উর্দ্ধে কেউ নয় তাই আমারও ভুল হতে পারে। আমার নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিলে আপনারা আমাকে জানাবেন আমি আপনাদের সামনেই তার ব্যবস্থা নিব। অনিয়ম দুর্নীতিতে আমি পাসপোর্ট অফিস জিরো টলারেন্স দেখাতে চাই।
কোন সেবা প্রত্যাশী যাতে হয়রানির স্বীকার না হয় বা দালালের খপ্পরে না পড়ে তার সর্বোচ্চ খেয়াল রাখা। পাসপোর্ট অফিসকে আমি সর্বোচ্চ সেবার মানদন্ডে নিয়ে যেতে যাই। যে কোন সেবা প্রত্যাশি আমার রুমে এসে সেবা নিতে পারবেন। তিনি দালালদের হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমি যতদিন থাকবো দলালমুক্ত সাতক্ষীরা পাসপোর্ট অফিস উপহার দিবো। সেজন্য তিনি সাংবাদিক সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।