মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা ৩৩ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আশরাফুল হক, পিবিজিএম, পিএসসি, জি
মোঃ আমিরুজ্জামান বাবু : বাংলাদেশ ভূখন্ডের অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে বিজিবি সৈনিকরা তাদের দায়িত্ব শতভাগ পালন করে যাচ্ছে। সীমান্তে নানাবিধ সমস্যা ও সংকট মোকাবেলা এবং সকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশপ্রেমিক সৈনিকরা মাতৃভূমিকে আঁকড়ে ধরে আছে।
সাতক্ষীরাস্থ ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন বিওপির জওয়ানরা সীমান্তে কঠোর নজর দারীর কারনে জানুয়ারী ২০২৪ থেকে জুন ২০২৪ পর্যন্ত ৪৯ কোটি ৫২ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৮২ টাকার চোরাচালানী পণ্য আটক করেছে। এর মধ্যে স্বর্ণ ১ কেজি ৭১১ গ্রাম ১০০মি: যার মূল্য ১ কোটি ৭২ লাখ ৪১ হাজার ৩৮৩ টাকা। রৌপ্য ১৩ কেজি ৮৭০ গ্রাম যার মূল্য ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৯০ টাকা। ফেন্সিডিল, মদ, ইয়াবা গাঁজা সহ বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য যারমূল্য ৩২ কোটি ৮০ লাখ ১৮ হাজার ৬৫০ টাকা, এছাড়া অবৈধ মালামাল ও মাদকদ্রব্য সহ ১৩ জন।
বিভিন্ন চোরাচালান পণ্য সহ আটক ৩০জন, অবৈধ ভাবে সিমান্ত পারাপারের সময় আটক এছাড়া বিভিন্ন সময় মটর সাইকেল, মোবাইল ফোন, সান্ডেল, থ্রী-পিছ, বিভিন্ন প্রকার কসমেটিক, চা-পাতা, সুখি বড়ী ও বিভিন্ন প্রকার ঔষধ আটক করা হয়।
বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আশরাফুল হক, পিবিজিএম, পিএসসি,জি জানান, এই সাহস ও প্রত্যাশার ওপর ভর করে জনগণের সহায়তা নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় তার ব্যাটেলিয়ন। যেখানেই মাদক সেখানেই হানা দেওয়া হবে কোন মাদক ব্যাবসায়ীকে সীমান্ত এলাকায় প্রশ্রয় দেওয়া হবেনা। বর্তমান সীমান্তে মাদক নির্মুল ও চোরাচালান বন্ধে বিজিবি’র জোয়ানরা সব সময় অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন করে চলেছে।
তবে ইদানিং মাদক চোরাকারবারীরা রাতের আঁধারে মাদক দ্রব্য পাচার করে আনার সময় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র¿ সঙ্গে রাখে। যে কারনে বিজিবি জোয়ানদের সব সময় ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনগণকে সচেতন হয়ে চিহ্নিত মাদক চোরাকারবারীদের কে ধরার ব্যাপারে বিজিবি’র জোয়ানদের সাহায্য করার জন্য ৩৩ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক অনুরোধ জানান। ইতোমধ্যে চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ি মামলা দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে সীমান্তের ১৩৮ কিঃ মিঃ ঘুরে বসবাসরত একাধিক ব্যাক্তির সাথে আলাপ করে জানাযায়, বর্তমান ৩৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আশরাফুল হক, পিবিজিএম, পিএসসি,জি চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহন করার কারনে মাদক দ্রব্য ও চোরাকারবারী রাঘব বোয়ালদের আপাতত কোন হদিস বা কান দেখা যাচ্ছে না। তারা এখন পিছু হটতে শুরু করেছে।
তবে রাতের আঁধারে কিছু ছিচকে চোরাকারবারীদের সীমান্তে ঘোরা ফেরা করতে দেখা যায়। ৩৩ বিজিবি আধিনায়ক জানান, চোরাচালান রোধে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র টহল জোরদার করা হয়েছে। চোরাচালান প্রতিরোধে সাংবাদিক সহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন বিজিবি অধিনায়ক।