ফজলুল হক, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : কালিগঞ্জে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লাগামহীন দাম সংকটে সাধারণ খেটে খাওয়া ও মধ্যবিত্ত মানুষ দিশেহারা। নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে সব স্তরের মানুষ ভোগান্তিতে পড়লেও সীমিত আয়ের মানুষের জন্য তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় সংকুলান করার কোনো পথ তারা খুঁজে না পেয়ে মধ্যবিত্তরা দিশেহারা।
সোমবার (৮জুলাই) বিকালে উপজেলার শহীদ সামাদ স্মৃতি ফুটবল মাঠ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন তারালি রাস্তা মোড়ে নিত্য প্রয়োজনীয় তরকারি বাজার ঘুরে জানা গেছে, বর্তমানে আলু কেজি ৫৫ টাকা , পটল ২৫ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ পার কেজি ২৫০ টাকা, বেগুন ১৫০/২০০টাকা, সুন্দরবনের বুনফল কেওড়া ৫০, ভেন্ডি -ঢেড়স ৬০, অল ৯০ টাকা প্রতি কেজি, কচুর মুখি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, করোলা/উচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, রসুন ১৯০-২০০ টাকা কেজি, একটু কম দামে বিক্রি হচ্ছে পটল ২৫ থেকে ২০ টাকা দরে কেজি, পুইশাক ২০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কাঁচকলা ৬৫ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ টাকা , আদা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, ডিম প্রতি পিস-১২ থেকে সাড়ে ১২ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, পাঙ্গা মাছ ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জানতে চাইলে- তরকারি ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান, সামাদ গাজী ও আকবর আলী তারা জানান প্রতিদিন উপজেলার নলতা বাজার তরকারির আড়ত এবং মাঝেমধ্যে উপজেলার মৌতলা তরকারি বাজারের পাইকারি আড়ৎ থেকে বর্তমান সময়ে অনেক চড়া মূল্যে মালামাল ক্রয় করে বাজারে এনে বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকারি চাকরিজীবীরা বাদে প্রায় ক্রেতাশূন্য বাজার দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় তরকারি খুবই কম কিনছে। তুলনামূলক খুবই কম আমাদের এখন কেনাবেচা।
অনেক চড়া দামে মালামাল ক্রয় করে সীমিত লাভে বিক্রি করলে ও ক্রেতাদের সমাগমখুবই কম সে কারণে আমরাও খুবই বিপাকে পড়ে আছি। এ সময় সাধারণ খেটে খাওয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য আতাউর রহমান, মোসলেম গাজী,আতর আলী সানা, সহ বাজার করতে আসা দিনমজুরি খেটে খাওয়া আকবার আলি, মালেক গাজী, মিজানুর রহমান, সোহেল তরফদারসহ একাধিক ব্যক্তি জানান। বর্তমান নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূলের বাজার আগুন ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
উপজেলার বাজার গ্রাম এলাকার সাধারণ শ্রমিক ইয়াকুব আলী, মনিরুল ইসলাম, আব্দুল হামিদ হাফিজুর সহ একাধিক ব্যক্তি জানান লেবার শ্রমিকের কাজ করে উপার্জিত হয় ৪০০ টাকা এই সীমিত আয়ের অনেকেই এখন সংসারের ব্যয় কাটছাঁটের চাপে পড়েছেন। কারণ ডিম, আলু, পাঙাশ মাছ, তেলাপিয়া, ব্রয়লার মুরগির মতো সবচেয়ে সস্তার খাবারগুলোও এখন উচ্চমূল্যে কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদেরকে। যখন পাঙাশ, তেলাপিয়া মাছের দাম, ব্রয়লার মুরগির মাংসের দাম বাড়ছে, তখন হয়তো ডিমের চাহিদা বেশি হচ্ছে । ডিমের দাম বেশি হলেও ভর্তা-ডালের ওপর নির্ভরতা বাড়বে। যখন সবকিছুরই দাম বেড়েছে তখন আর তাদের কোনো বিকল্প থাকে না, অতি কষ্টের মধ্যেই চলতে হচ্ছে’ বলেন তারা।