বাবলা আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের সীমান্ত নদী ইছামতির সোলপুর এলাকায় বেড়িবাঁধে ফাটল, আতঙ্কে এলাকাবাসী, তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তা ব্যাক্তিদের উদাসীনতার দাবী স্থানীয়দের।
সরেজমিন ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানাগেছে, ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত নদী প্রবাল স্রোতের ইছামতি নদীর ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের সোলপুর বিওপি ও শ্বশ্মান ঘাট এর মাঝামাঝি স্থানে প্রায় দেড়শো গজ বেঁড়িবাধে ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে। ওয়াপদার বেড়িবাঁধ এর অর্ধেক জুড়ে বৃহত ফাটলের পাশাপাশি দুই তিন ফুট করে নদীর কুলে দেবে গিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে ছোট ফাটল থেকে শনিবার তা বৃহৎ আকারে দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত জনগন নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হোসেন নাঈম। তিনি বলেন ফাটলের খবরে আমি সরেজমিনে গিয়ে অবস্থার বিবরণ জানিয়ে কল দিয়েছি ওয়াপদার এসও সহ উর্ধতন কর্মকর্তাকে। তারা আমলে নেননি আমার আবেদন। সেকারণেই আজ বিপদজনক পরিবেশ তৈরী হয়েছে।
যে কোন সময়ে বেঁড়িবাধ ভেঙ্গে প্লাবিত হতে পারে ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের সুইলপুর, ব্রজপাটুলী, সাদবসু, বাগমারী, কামদেব পুরসহ বিভিন্ন গ্রামের বিস্তীর্ণ জনপদ। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শতশত ঘরবাড়ি, হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল, সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন স্থাপনা। শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল থেকেই ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বরসহ গ্রামবাসীদের নিয়ে চেষ্টা চালাতে থাকে স্বেচ্চাশ্রমের মাধ্যমে বেঁড়ি সংস্কারে।
দুপুরে সরেজমিনে যান পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শুভেন্দু বিশ্বাসসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এসময়ে অত্র অফিসের কর্মচারীরা ফাটলটি মাটি দিয়ে ঢেকে গাছের ডালপাল দিয়ে দেন। এ যেনো গর্তে ঈদুর রেখে মুখ বন্ধ করার মত অবস্থা। আজ বাদে কাল গোনমুখ সে কারণেই স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দ্রæত সংস্কার না করলে ভাঙনে বাঁধের এক অংশ নদীতে ধ্বসে পড়ে যেতে পারে। কেউ কেউ আশঙ্খা করছেন যেকোনো মুহুর্তে সমগ্র বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে লবণ পানি প্রবেশ করতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বর উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন এটা তেমন কিছু না, তাছাড়া আমাদের নিকট জিও ব্যাগ পর্যাপ্ত থাকলেও বালি না থাকায় কাজ করতে পারছি না। তবে আমরা চেষ্টা করছি। বিষয়টি তাৎক্ষণিক ভাবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। দ্রæত বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হবে।