আবুল বাশার : আষাঢ় মাস শেষ হয়ে শ্রাবণ মাস শুরু হলেও সাতক্ষীরায় এখনো ভারী বৃষ্টি না হলেও মাঝে মাঝে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা জেলার বেশির ভাগ পাকা সড়ক পিচ্চিল হয়ে এখন কাদামাটির রাস্তায় পরিণত হয়েছে। গত ৪/৫ মাস ধরে ইটভাটায় অবৈধ ট্রলি, ডাম্পারসহ বিভিন্ন যানবাহনে খননকৃত বেতনা নদীর মাটিসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি নেওয়ার সময়ে সড়কে যে মাটি পড়েছে সেগুলো বৃষ্টিতে ভিজে পিচ্ছিল হয়ে মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।হরহামেশাই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহনের চালক, যাত্রী ও সাধারণ মানুষ,সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে আছে মোটরসাইকেল আরোহীরা।
ইতিমধ্যে পিচ্চিল সড়কে দূর্ঘটনার শিকার হয়ে একজন গণমাধ্যম কর্মীর মৃত্যুসহ একাধিক ব্যক্তিবর্গ মারাত্মক দূর্ঘটনার শিকার হয়ে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, জেলার বেশির ভাগ সড়কের চিত্র এখন এমনই। জেলায় শতাধিক ইটভাটার মাটি দীর্ঘদিন ধরে ট্রলি, ডাম্পার ও ট্রাকে পরিবহন করায় তা রাস্তায় পড়ে মাঝে মাঝে হওয়া গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে পিচঢালা রাস্তা কর্দমাক্ত পিচ্চিল হয়ে পথচারীদের জন্য মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
বর্তমানে বেহাল হয়ে পড়েছে জেলার অধিকাংশ সড়ক ও মহাসড়কগুলো। সামান্য বৃষ্টিতে পিচঢালা এসব পাকা রাস্তায় পড়া মাটি ভিজে কর্দমাক্ত পিচ্চিল হয়ে জনসাধারণের চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।এসব ঝুঁকিপূর্ন পিচ্ছিল সড়কে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। ইটভাটার মালিকেরা জনদুর্ভোগকে পাত্তা না দিয়ে একটি অদৃশ্য শক্তির জোরে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।সাতক্ষীরার সড়ক গুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে জনস্বার্থে অবিলম্বে এসব মাটি বহনকারী ডাম্পার,ট্রাক ও ট্রলি বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন সাতক্ষীরাবাসী।