নিজস্ব প্রতিনিধি : সরকারের নির্বাহী আদেশে জামাত-শিবির নিষিদ্ধের ঘোষণায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্র-যুব-নারী শিল্পী-সাংবাদিক-আইনজীবী, রাজনীতিকসহ সাধারণ মানুষের মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে অনুষ্ঠিত মিছিল সমাবেশে সন্ত্রাসী সংগঠন জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় সরকারকে অভিনন্দন জানান প্রত্যেকে। বিকেলে এই নিষিদ্ধের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ প্রকাশের পর থেকে একজন দুই জন করে শত শত মানুষ প্রেসক্লাবে চলে আসেন এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য।
এরপর সকলের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে এই মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করলে শহরের স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষ হাত নেড়ে মিছিলকারীদের অভিনন্দন জানান। মিছিলে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভিন সেজুতি, আওয়ামীলীগ নেতা আ হ ম তারেক উদ্দিন, শাহাদত হোসেন, জাসদ নেতা ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, সিপিবি নেতা কমরেড আবুল হোসেন, বাসদ নেতা নিত্যানন্দ সরকার, বাংলাদেশ জাসদ নেতা প্রভাষক ইদ্রিস আলী, গণফোরাম নেতা আলীনুর খান, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জোসনা দত্তসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক শিল্পী আইনজীবীসহ পেশাজীবী ছাত্র জনতার স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ দেখা যায়। মিছিলটি বৃষ্টির মধ্যেই সাতক্ষীরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেষ্ট ময়রার ব্রিজের কাছে গিয়ে শেষ হয়।
কন্ঠশিল্পী শামিমা পারভিন রত্না বলেন, জামাত-শিবিরের হাতে মানুষের রক্ত এটি পৃথিবীর ইতিহাসে একটি ঘৃণ্য বর্বর প্রতিষ্ঠান। তারা স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনীতিক-শিল্পী-সাংস্কৃতিককর্মী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে স্বাধীনতার আগেও পরে। তাই সরকারের সিদ্ধান্তে আমরা সন্তোষ্টি প্রকাশ করছি। সাংবাদিক নেতা শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন বলেন, জামাত-শিবির শুধু একাত্তরে পাকিস্তানী হানাদারদের খুনের সঙ্গী ছিলো না স্বাধীনতার পরেও সাতক্ষীরাসহ সারাদেশে স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষদের হত্যা ও বাড়ি ঘর দোকানপাট লুন্ঠনে সম্পৃক্ত ছিলো। তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাতক্ষীরার কৃতিসন্তান জুবায়ের চৌধুরী রীমুকে নির্মমভাবে হত্যা করে। মানবাধিকারকর্মী মাধব দত্ত বলেন, ১৯৭১ সালে জামাত শিবির এদেশের নিরস্ত্র বাঙালী নারী পুরুষকে হত্যা করে।
ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান করে। তারা এখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। দেশ স্বাধীন হলেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন সময়ে জিম্মি করেছে। ছাত্রশিক্ষকদের হত্যা করেছে। এই স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদী অপশক্তিকে নিষিদ্ধ করে সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, শুধু ২০১৩ সালে সাতক্ষীরায় ১৬ জন মানুষকে নির্মমভাবে জীবন দিতে হয় জামাত শিবিরের সন্ত্রাসীদের হাতে। আজ সরকার যে যুগান্তকারী ঘোষণা দিয়েছে সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করছে।