শাহ জাহান আলী মিটন : সাতক্ষীরায় জেলা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ আগষ্ট) বিকেলে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মুঃ মতিউর রহমান সিদ্দিকী, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক এডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী, জামায়াতের সাতক্ষীরা জেলা আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতী, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, লেঃকঃ আরিফ, বিজিবির সিও, চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, জামায়াতের কর্মপরিষদ ছাত্র নেতা হাবিবুর রহমান, দৈনিক সংগ্রামের জেলা সংবাদদাতা আবু সাইদ বিশ্বাস, ডিজিএফআই, ডিবি, ডিএসপি সহ সরকারের বিভিন্ন বাহিনির সদস্যরা।
সেনাবাহিনীর লেঃ কর্ণেল আরিফ বলেন, জেলার কোথা কোন অরাজকতা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করলে শাস্তি পেতে হবে। জেলার সবকটি উপজেলাতে সেনা চৌকি বসানো হবে।
তিনি রাজনৈতিকদলসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগীতা কামনা করেন। তিনি আশ্বস্থ করেন দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসলে তারা দ্রæত বেরাকে ফিরে যেতে পারবে।
পুলিশ সুপার মুঃ মতিউর রহমান বলেন, আজ থেকে জেলার সবকটি উপজেলার থানা গুলোতে পুলিশ কাজ শুরু করবে। সভায় জেলা বিএনপি’র আহবায়ক এডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী, জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থির দ্রæত উন্নয়ন করতে তার দলের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগীতার আশ্বাস দেন। সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতী বলেন, শহরের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে তার পৌরসভার পরিচ্ছিন্ন কমীরা কাজ করে যাচ্ছে। সদর থানার চার পাশে নিরাপত্তা বলায় গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ কার্যক্রম শুরু করলেই জেলাতে শান্তি ফিরিয়ে আসবে।
সাতক্ষীরা জেলা আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার বলেছেন, আমরা আহবান জানাব, যেখানেই দুর্বৃত্তপনা দেখবেন, তৎক্ষণাৎ এদের প্রতিরোধ করতে হবে। আমরা কথা দিচ্ছি, বিদ্যমান প্রশাসনকে এ বিষয়ে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।
জামায়াতের আমির আরো বলেন, ‘আমরা অতীব দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি, এই ধরনের পরিবর্তনের উষালগ্নে একটি সুবিধাবাদী দুর্বৃত্ত গোষ্ঠী জেলার বিভিন্ন জায়গায়, শহরে এবং গ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন প্রতিপক্ষের বাড়িঘর এবং ক্ষেত্রবিশেষে কিছু কিছু জায়গায় সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আঘাত করেছে। কোথাও ভাংচুর, কোথাও লুটপাট করা হয়েছে, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। যাদের অন্তরে বিবেক আছে, মানবতা আছে, তারা এগুলো করতে পারে না।’
দলের নেতা-কর্মীদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে মুহাদ্দিস রবিউল বাশার বলেন, এখন থেকে যেখানে মানুষের বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা আছে, সেখানে জামায়াতের নেতাকর্মীরা যেন পাহারাদারের ভ‚মিকা পালন করেন। তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমীর উদ্বৃত্ত দিয়ে বলেন, ‘এখানে কেউ সংখ্যালঘু নয় এবং কেউ সংখ্যাগুরু নয়। সবার অধীকার সমান। জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন, তাদের দলের পক্ষ থেকে জেলা ব্যাপি মাইকিং করে জনগনকে সতর্ক করা হচ্ছে যাতে করে কেউ ধ্বংস যোগ্য চালাতে না পারে। বিশেষ করে হিন্দু স¤প্রদায়ের ঝুকিপূর্ণ ধর্মীয় উপাশানালয় গুলো পাহার জামায়াত শিবিরের কর্মীদের দিয়ে পাহারা বসিয়েছে।