সোমবার , ১৯ আগস্ট ২০২৪ | ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

কলারোয়ায় ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিএনপি’র সংবাদ সম্মেলন

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
আগস্ট ১৯, ২০২৪ ১১:২৫ অপরাহ্ণ

কলারোয়া প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্যোগে ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন । সোমবার ১৯ আগষ্ট বিকাল ৫ টায় সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলামের হাবিবের বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের বাচ্চু।

তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ৫ দফা দাবির মধ্যে ১. বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ বিএনপি’র কারাবন্দী নেতৃবৃন্দের নামে দায়ের করা সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে ২. বিগত ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই ২৭ রমজান রাতে কলারোয়া সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি ও জোড়া মার্ডার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনতে হবে ৩. বিগত ২০১৩ সালে ৫ মার্চ বিএনপির মিছিলে বোমা হামলার জন্য উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বোমা তৈরির সময় বোমা বিস্ফোরিত হয়ে নিহত হয় আ.লীগ নেতা শুকর আলী এবং গুরুতর আহত হয় বোমা তৈরির কারিগর আলিম, আনছার ডাকাত ও মওফল। এ ঘটনায় কলারোয়া থানায় একটি মামলা হয়।

ওই মামলার পুনঃ তদন্তপূর্বক আহত তিনজন ব্যক্তিসহ সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। ৪. বিগত ২০০০ সালের ২ মার্চ কলারোয়া সরকারী কলেজে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার সময় পদপৃষ্টে নিহত হয় লিপি, পজিলা, হাবিব ও মামুন। নিহত ব্যক্তিদের শোক শন্তপ্ত পরিবারের সমবেদনা জানাতে ২০০০ সালের ১৮ মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কলারোয়ায় আগমন উপলক্ষ্যে ফুটবল মাঠে জনসভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু ওই দিন কলারোয়া উপজেলা আ’লীগের নেতৃত্বে ওই সভামঞ্চ ভেঙ্গে দেওয়া হয় এবং বিএনপি’র তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাস্টার রফিকুল ইসলামের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে ১৪৪ ধারা জারি করে সভা বন্দ করে দেওয়া হয়।

পরবতীতে ২০০২ সালের ৫ অক্টোবর বন্যায় প্লাবিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কলারোয়ায় আসার পথিমধ্যে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা কলেজের সামনে আ’লীগের সন্ত্রাসীরা বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা চালায় এবং হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি বর্ষন করা হয়। পরে ওই স্থান থেকে তিনি বিবিসিকে সাক্ষাতকার দিয়ে ঢাকায় ফিরে যান। তারপর কলারোয়া চৌরাস্তা মোড়ে নির্মিত সভা মঞ্চ ভেঙ্গে দেওয়া। এমনকি ওই দিন রাতে বিএনপি’র ৪৬ জন নেতাকর্মীকে জন নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়। উল্লেখিত ঘটনার প্রত্যেকটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

৫. শেখ হাসিনার গাড়িবহর হামলা মামলায় মিথ্যা স্বাক্ষী দিয়ে যারা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি হাবিবসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপির প্রায় ৫০জনকে সাজা দিয়ে কারারুদ্ধ করে রেখেছে সেইসব ব্যক্তিদের মধ্যে যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বে আছে তাদের অভিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে গার্লস পাইলট হাইস্কুল, কয়লা হাইস্কুল, বেগম খালেদা জিয়া মহাবিদ্যালয়, কলারোয়া পাইলট হাইস্কুল, মুরারীকাটি হাইস্কুল ও ধানদিয়া ইউনিয়ন ইন্সটিটিউশন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ.সভাপতি আব্দুর রশিদ মিয়া, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু বকর ছিদ্দিকী, পৌর বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক শওকত হোসেন, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব কেএম আশরাফুজ্জামান পলাশ, প্রভাষক সালাউদ্দীন পারভেজ, আবু জাফর, স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা আহবায়ক মোশারফ হোসেন, সরোয়ার হোসেন, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সিরাজ প্রমুখ। এর আগে এই ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কলারোয়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জের কার্যালয়ে পৃথক পৃথকভাবে স্বারক লিপি প্রদান করেন বলে নেতৃবৃন্দ জানান।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর