বিলাল হোসেন, শ্যামনগর ব্যুরো : দীর্ঘ দিন সুন্দরবন দস্যু মুক্ত থাকলেও আবার নতুন করে শুরু হয়েছে সুন্দরবনে দস্যুতা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে সুন্দরবন জেলে-বাওয়ালীরা। দায়িত্বশীল সুত্রে জানাযায়, সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চ গ্রামের আকবর তরফদারের ছেলে আব্দুল্লাহ তরফদার (৪২) গত (১৪ সেপটেম্বরে) নারী পাচার মামলায় জেলে যায়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত (৫ আগস্ট) রাতে সাতক্ষীরা জেলা কারগার ভাঙচুর হলে সেখান থেকে পালিয়ে কৈখালী ইউপির পারাণপুর গ্রামে তার এক নিকট আত্নীয়র বাড়ি আশ্রয় নেয়। (৬ আগস্ট) রাতে টেংরাখালি গ্রামের জহির গাজীর ২ ছেলে আলীম গাজী, রাজ্জাক গাজী একই গ্রামের পাগলা সুলতানের সফিকুল ইসলামের সহযোগিতায় মিরগাং মোড় দিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে।
বনদস্যুতায় নামা আব্দুল্লাহ বাহিনীর প্রধান আব্দুল্লাহের সাথে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল ছিল যাদের অধিংশ কারাগার থেকে পালিয়ে আসা। এদের বাড়ি সাতক্ষীরা এবং কালিগজ্ঞের মৌতলায় বলে সুত্রে জানায়। এছাড়া বনদস্যু আব্দুল্লাহ এর সহযোগী আলীম গাজী এলাকায় ফিরলেও রাজ্জাক গাজী, সফিকুল ইসলাম এখনো ফিরে আসেনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জেলে জানান, ১০ থেকে ১২ জনের একটি ডাকাত দল আব্দুল্লাহ বাহিনী সুন্দরবনের দারগাং, আঠারোবেকী, কাচিকাটা, রায়মঙ্গল, কচুখালী, মাওন্দো নদীতে অবস্থান করছে। তারা আমাদের ধরে নৌকায় যা পাচ্ছে সেগুলো তুলে নিচ্ছে পুনারায় বনে প্রবেশ করলে মোটা অংকের টাকা নিয়ে প্রবেশ করতে বলে। জেলে রুবেল হোসেন, আনোয়ার আলী বলেন, মেলা দিন পরে সুন্দরবনে আবার ডাকাত নেমেছে নদী মাছটাছ তেমন হয়না।
মহাজনের কাছ থেকে দাদন নেও ডাকাতির টাকা দিবো না ঝণ শোধ করবো বড় চিন্তায় আছি। টেংরাখালি গ্রামের আব্দুল হামিদ লাল্টু বলেন, আমার এলাকার জেলেরা জানায় সুন্দরবনে ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল প্রবেশ করেছে। তারা জেলেদের কাছে যা পাচ্ছে সব নিয়ে নেচ্ছে। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করছি। বনদস্যু সহযোগীতাকারি আলীম গাজী বনদস্যু আব্দুল্লাহর সহযোগীতার বিষয় অস্বিকার করে বলেন আমি গতকাল বনে থেকে বাড়ি আইছি।
এসে তাই শুনলাম যে বনে ডাকাত নেমেছে। এখনো কেও সঠিক খবর বলতে পারছে না। আমার ভাই রাজ্জাক আর আমাকে ফাঁসানো জন্য একটি পক্ষ মিথ্যা বলছে। এধারণের কাজের সাথে আমরা জড়িত না। আরেক সহযোগী সফিকুল ইসলামের ফোন দিলে দিলে তার মা রাবেয়া বেগম রিসির্ভ করে জানান, সফিকুল আর রাজ্জাক বনে আছে।
বনদস্যু আব্দুল্লাহর সহযোগিতার বিষয় জানতে চাইলে বলেন কেও যড়যন্ত্র করে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের দায়িত্ব থাকা হাসনা জাহান বিথী বলেন, আব্দুল্লাহ তরফদার সহ ৭-৮ জন এখনো পালাতক রয়েছে। জেল পালাতক আসামীদের ধরতে প্রশাসন কাজ করছে। সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা কে এম ইকবল হোসাইন চৌধুরী বলেন, শোনা যাচ্ছে সুন্দরবনে বনদস্যু নামছে। কোন জেলের সুনিদিষ্ট অভিযোগ পেল ব্যবস্থা নিবো।