আশাশুনি ব্যুরো : সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামে মসজিদের টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের হামলায় দুই জন আহত হয়েছে বলে জানাগেছে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ক্যাম্প কমান্ডার সাতক্ষীরা বরাবর প্রতিকার প্রার্থনা করে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরে হাবাসপুর বাইতুল মামুর আহলে হাদিস জামে মসজিদের উন্নয়ন জন্য সাতক্ষীরা সদর আসনের সাবেক এমপি মোঃ আশরাফুজ্জামান (আশু)’র মাধ্যমে ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। উক্ত টাকা হাবাসপুর গ্রামের মৃত সাজ্জাদ সরদারের ছেলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও তার ভাই মিলন কৌশলে উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ করে।
কিছুদিন যেতে না যেতেই উক্ত মসজিদের সাধারণ মুসল্লীসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ বিষয়টি বুঝতে পারে। উক্ত বরাদ্দের টাকা আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুনের নিকট চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে টাকা দেবে না বলে হাকিয়ে দেয়। কোন উপায় না পেয়ে মসজিদের ম্যানেজিং কমিটি সাধারণ মুসল্লিদের নিয়ে বিগত ৩১ জুলাই জরুরী সভার আহবান করে।
সভায় মুসল্লিদের যৌথ সিদ্ধান্তের চাপে আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবীর মসজিদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিকট ফেরত দেবে বলে অঙ্গীকার করলেও পরে টাকা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে ১৮ আগস্ট মসজিদের মুসল্লিবৃন্দ ২য় দফায় তার নিকট বরাদ্দের টাকা ফেরত চাইলে আ’লীগ নেতা হুমায়ুন কবির ও তার সহযোগী ছোট ভাই মিলন হোসেন, মোশারফ হোসেন ও তার ভাই সোহরাব হোসেন মুসল্লীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই ঘটনায় মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদসহ কয়েকজন আহত হয়।
এ বিষয়ে সদরের হাবাসপুর গ্রামের সেলিম রেজার স্ত্রী রুনা বাদী হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ক্যাম্প কমান্ডার সাতক্ষীরা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি দাউদ হোসেন, উপদেষ্টা ডাঃ আবু হেনা’র কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, এই হুমায়ুন একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী তার নামে আশাশুনি ও সাতক্ষীরা সদর থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
সে হাবাসপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় দাপট দেখিয়ে আমাদের এলাকায় সাধারন মানুষের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলো। মসজিদের টাকার বিষয়ে তার সাথে বলতে গেলেই বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখায় এবং এই ঘটনার পর থেকেই মসজিদের টাকা আত্মসাতকারি হুমায়ুন ও তার সংঘবদ্ধ লোকজন প্রকাশ্য দিবালোকে মসজিদ কমিটির সদস্যদের যে যেখানে পাবে হাত পা কেটে নিবে বলে আশ্ফড়ন করে যাচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনার পর বিবাদী মোশারফ হোসেন ও তার ভাই সোহরাব হোসেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দেওয়া সহ বেশি বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন হাসপাতালে ভর্তি আহতরা। এ ঘটনায় ন্যায়বিচার প্রার্থনা করে ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।