শেখ মোসলেম আহম্মেদ, কলারোয়া প্রতিনিধি : শুক্রবার ২৩ আগষ্ট সাতক্ষীরার ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক, বিএ-৬৩৮০ লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক, পিবিজিএম, পিএসসি, জি এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় একটি বিশেষ আভিযানিকদল একজন আসামী সহ ০১টি বিদেশী পিস্তল (কপি, মেইড ইন ইউএসএ নামাঙ্কিত), ০৩ রাউন্ড গুলি, ০১টি ম্যাগাজিন এবং ১.৯৯৫ কেজি রুপার গহনা আটক করে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, সাতক্ষীরাস্থ কাকডাঙ্গা বিওপির দায়িত্বাধীন সীমান্ত পিলার ১৩/৩-এস এর ৭ আরবি হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দক্ষিন ভাদিয়ালী এলাকা দিয়ে অস্ত্র-গোলাবারুদ ও রুপা বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে আগমন করবে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর অধিনায়কের নির্দেশে অত্র ব্যাটালিয়নের কাকডাঙ্গা বিওপির নাঃ সুবেঃ মোঃ আবু তাহের পাটোয়ারী এর নেতৃত্বে একটি চৌকষ আভিযানিকদল বর্ণিত স্থানে কৌশলে অবস্থান গ্রহন করে।
এ সময় আভিযানিকদল বর্ণিত স্থান হতে বাংলাদেশী নাগরিক মোঃ তরিকুল ইসলাম (৪০), পিতা-মৃত-লুৎফর রহমান, গ্রাম-দক্ষিণ ভাদিয়ালী, পোঃ সোনাবাড়য়া, থানা-কলারোয়া, জেলা-সাতক্ষীরা কে আটক করে এবং অপর ০১ জন দুষ্কৃতকারী রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। আটক আসামি তরিকুলের সহযোগী পালিয়ে যাওয়া দুষ্কৃতকারী মোঃ আব্দুল গফ্ফার (৪৫), পিতা-মৃত আব্দুল আজিজ, গ্রাম-পূর্ব ভাদিয়ালী, পোঃ সোনাবাড়িয়া, থানা-কলারোয়া, জেলা-সাতক্ষীরা মর্মে জানায়। পরবর্তীতে আটককৃত ব্যক্তিকে তল্লাশী করে তার ব্যাগে রক্ষিত ০১টি বিদেশী পিস্তল (কপি, মেইড ইন ইউএসএ নামাঙ্কিত), ০৩ রাউন্ড গুলি, ০১টি ম্যাগাজিন ও ১.৯৯৫ কেজি ভারতীয় রুপারা গহনা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় যে আটককৃত আসামি তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় ৪ টি মাদক মামলা এবং পলাতক আসামী আব্দুল গফফারের বিরুদ্ধে ০২ টি অস্ত্র মামলা রয়েছে। আটক ও পলাতক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় মামলা দায়ের করে আটককৃত আসামী ও অস্ত্র-গোলাবারুদ থানায় হস্তান্তর এবং রুপার গহনা সাতক্ষীরা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।