এ. মাজেদ : জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা গ্রাম থেকে শহরে। বছরের অধিকাংশ সময়ে গ্রামের অন্যের গাছ পরিস্কার করা, শীতের মৌসুমে খেজুরের রস সংগ্রহে করতে শিল্পের কাজ এবং মাঝে মাঝে সাতক্ষীরা জেলা শহরে ভ্যান চালাতে যায় সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের মৃত আব্বাস মোড়লের ছেলে আমিনুদ্দিন মোড়ল (৫২)।
১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টা শহরে মাষ্টারপাড়া এলাকা থেকে যাত্রী নিয়ে আমতলার দিকে যাওয়ার পথিমধ্যে রাস্তায় পড়ে থাকা টাকা ভর্তি মানিব্যাগ কুড়িয়ে পান তিনি। মানিব্যাগটি পাওয়ার পর থেকে নিজের সাধ্যমত মতো খুঁজতে থাকেন মানিব্যাগের প্রকৃত মালিকের সন্ধান। নিরক্ষর হাওয়ায় তাৎক্ষণিক ভাবে তিনি প্রকৃত মালিককে খুঁজে পেতে দেরি হয়েছে বলে জানান তিনি।
অবশেষে আমিনুদ্দিনের বিশ্বস্ত ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলমের সহযোগিতায় মানিব্যাগের প্রকৃত মালিকের সন্ধান পেয়ে যান তিনি। মানিব্যাগের প্রকৃত মালিক ধুলিহর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আশরাফুজ্জামানের ছেলে তানভীর ফয়সালের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করেন জাহাঙ্গীর আলম।
এসময় তানভীর ফয়সাল বলেন-সাতক্ষীরা শহরে বাইকে আরোহণ কালে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, এটিএম কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নগদ টাকাসহ মানিব্যাগ অসাবধানতাবশত পকেট থেকে পড়ে যায়। সাধ্যমত সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি ও সমস্ত শহরে মাইকিং করেও পাওয়া যায়নি।
জাহাঙ্গীর আলম জানান তার মানিব্যাগ টি অক্ষত অবস্থায় সংরক্ষিত আছে আমিনুদ্দিনের কাছে। ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ৮ টায় তানভীর ফয়সালের বন্ধু দৈনিক সাতক্ষীরার সকাল পত্রিকার প্রতিনিধি আব্দুল মাজেদের মারফতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং নগদ টাকায় ভর্তি মানিব্যাগ টি অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেন আমিনুদ্দিন মোড়ল। এসময় আমিনুদ্দিন মোড়লকে পুরুস্কৃত করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মানিব্যাগ টির মালিকপক্ষ। এমন খবর এলাকায় জানাজানি হলে প্রশংসায় ভাসাছেন আমিনুদ্দিন মোড়ল। অনেকেই মন্তব্য করছেন এমন মানুষদের জন্য সমাজে আজোঅব্দি মনুষ্যত্ববোধ সদাজাগ্রত আছে।