কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী খারহাট এলাকার বেড়িবাঁধে ফটোল দেখা দেওয়ায় এলাকার এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে সরজমিনে উপজেলা ভাড়া শিমলা ইউনিয়নের খারহাট সংলগ্ন ইছামতি নদীর খাটহাট কামদেবপুর এলাকায় ভেড়িবাধ ফাটল কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে দেখা যায় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাত খারহাট ভেড়িবাধ ফাটল দেখা দিয়েছে নদীর ধার ভেড়িবাধের নিচে থেকে মাটি ধস নেমে নদীর জোয়ার ভাটা বৃদ্ধি পেলে কিংবা বৃষ্টি হলে যে কোন মুহূর্তে ভেড়িবাধ ভেঙে গিয়ে এলাকায় ব্যাপক ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভাড়শিমলা ইউনিয়নের (৪নং)ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল খালেক জানান বসন্তপুর খাদ্য গুদাম থেকে প্রায় পাঁচশত হাত দূরে খারহাট নামক এই এলাকায় ভেরি বাধে গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর-বৃহস্পতিবার থেকে ফাটল দেখা দেওয়ায় এলাকার মানুষ চরমভাবে আতঙ্কের মধ্যে আছে। যে কোন সময় ভেড়ি বাঁধ ভেঙে গিয়ে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। ফলে হাজার হাজার বিঘা মৎস্যঘের, জমির ফসল, ক্ষেতের সবজি, ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইতিপূর্বে এই এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ভেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হলে হাজার হাজার জিও ব্যাক ফেলে ভাঙ্গন ঠেঙ্গানো হয় । ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুর রহমান বলেন ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ভেরিবাধ দ্রæত মেরামত করা প্রয়োজন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলায় প্রতিবছর এই এলাকায় ভেড়ি বাধে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে।
এলাকার বাসিন্দা আকবর আলী বলেন ইছামতে নদীতে বালু কাটার ফলে সীমান্তের ওপারে কোন ক্ষতি হয়নি আমাদের এ ধারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এলাকার বাসিন্দা বালু ব্যবসায়ী লক্ষণ শাহা বলেন আমাদের এই মুহূর্তে বালু কাটার প্রয়োজন নেই। এলাকার মানুষের বাঁচানোর স্বার্থে এখানেই ভেড়িবাঁধ মেরামত ও সংস্কার করা প্রয়োজন না হলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে।
সীমান্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষারহাট ভেড়িবাঁধ যে কোন মুহূর্তে বিলীন হতে পারে নদী গর্ভে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মৎস্য ঘের, জমির ফসল, বাড়িঘর, এলাকার মানুষ।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত কুমার বিশ্বাসের কাছে বিষয়টি জানালে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। সকাল ৯ টার দিকে কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা নেতৃবৃন্দ ভাঙ্গন ও ফাটল এলাকা পরিদর্শন করেন এবং দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেন এবং খুবই শিগগিরই কাজ শুরু করবেন বলে জানান।