অহিদুজ্জামান, দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটা উপজেলার কুলিয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২০সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় কুলিয়া ইউনিয়নের পুষ্পকাটি গ্রামে এমন মারপিটের এমন ঘটনা ঘটেছে। এবিষয়ে পুষ্পকাটি গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের পুত্র রাজু ইসলাম দেবহাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পুষ্পকাটি গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের পুত্র সিরাজুল ইসলাম গং দের সাথে একই গ্রামের সামাদের পুত্র রাজু ইসলাম গং দের দীর্ঘ দিন যাবৎ জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গোলযোগ চলে আসছে। বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ৯৯টায় উভয় পক্ষের বসার কথা ছিলো।
সেজন্য রাজু ইসলাম তার কিছু লোকজন নিয়ে মিমাংসা করার উদ্দেশ্যে সিরাজুলের বাড়ির সামনে ইটের সোলিং রাস্তায় পৌছালে হঠাৎ পুষ্পকাটি গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মাফুরা খাতুন, পুত্র শামীম হোসেন, মৃত ইমান আলী সরদারের পুত্র সাইফুল ইসলাম, মৃত রহিম সরদারের পুত্র আ: সবুর, মৃত আ: হাকিম সরদারের পুত্র কবির হোসেন, আলমগীর হোসেন, জাহিদ হোসেন ও গোলাম হোসেন, আ: সবুরের স্ত্রী হাসিনা খাতুন, পুত্র নুরনবী, আরাফাত হোসেন ও বাবু, নুর ইসলামের পুত্র ফারুক হোসেন, মৃত মোক্তার আলীর পুত্র শাহারাত হোসেন, ইকবাল হোসেন ও মোশারাফ হোসেন, মৃত আ: রহিম সরদারের কন্যা জোনাকী খাতুন, আ: বারীর পুত্র তৈয়ব হোসেনসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২জন রাজু ইসলামের লোকজনের উপর লাঠি, লোহার রড, শাবল, ছুরি ও চাপাতি দিয়ে পথরোধ করে হামলা করে।
সিরাজুল ইসলামের হুকুমে শামীম উ: কুলিয়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের পুত্র জিয়ারুল ইসলাম (৪০) কে হত্যার উদ্দেশ্য তার মাথার বামপাশের্^ কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করে, নুরনবী লাঠি দ্বারা পশ্চিম কুলিয়া গ্রামের মৃত আমান উদ্দীনের পুত্র শাহ আলম (৩৬) এর মাথার ডান পাশের্^ আঘাত করে, কুলিয়া গ্রামের মৃত আমান উদ্দীনের পুত্র সাইফুল ইসলামের হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা মুর্শীদ আলম (৩০) এর মাথায় আঘাত করে, ফারুক হোসেন লাঠি দ্বারা সদর উপজেলার আলিপুর গ্রামের মৃত শামছুল হাজরার পুত্র সাজ্জাদ হোসেনের মাথার পেছনে খোঁচা মারে, বাবুর হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দ্বারা ভোমরা গ্রামের মোকছেদ আলীর স্ত্রী সুফিয়া খাতুনের বাম হাতের কবজিতে মেরে হাঁড়ভাঙ্গা জখম করে। তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার আগে রাজু ইসলামের পরিবারকে জীবননাশের হুমকি সহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়া চলে যায়।
বর্তমানে তারা গুরুতর আহত অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অন্যদিকে সিরাজুল গং পক্ষের পুষ্পকাটি গ্রামের আলমগীর হেসেনের স্ত্রী ছফুরা খাতুন (৪০) গুরুতর আহত অবস্থায় দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। এ ব্যাপারে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ ইদ্রিসুর রহমানের জানতে চাইলে তিনি বলেন একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।