নিজস্ব প্রতিনিধি : বেতনা-মরিচ্চাপ নদী অববাহিকায় জলাবদ্ধতা নিরসন, পলি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নদীর নাব্যতা রক্ষা ও পরিবেশ সমস্যা মোকাবেলায় কমিউনিটি বেজড টি আর এম বাস্তবায়নের জন্য সচেতনতা বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় সাথে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের ডিজিটাল কর্নারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর আইনুল ইসলাম নান্টা, সাংবাদিক মমতাজ আহমেদ বাপি, মিজানুর রহমান, এম কামরুজ্জামান, জেলা নাগরিক কমিটির আলী নুর খান বাবুল, ব্রহ্মরাজপুর ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, উন্নয়নকর্মী মহুয়া মঞ্জুরী প্রমুখ।
বেরকারি উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত কর্মশালায় সিজিআইএসএর বিশেষজ্ঞ কাজী কামরুল ইসলাম, এটিএম সামসুল আলম, প্রকৌশলী সিয়াম আলম উপস্থিত থেকে প্রকল্পের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে এলাকার সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেন। বক্তারা বলেন, পাখিমারায় টিআরএম প্রকল্পের মাধ্যমে সুফল পাওয়া গেছে।
টিআরএম এর মাধ্যমে নদীর নাব্যতা ঠিক থাকে। নদীর পলিমাটি বিলে যেয়ে বিল উচু হয় আর নদী গভীর হয়। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলাবদ্ধতা দূর করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হিসেবে টিআরএম বহুভাবে পরীক্ষিত। এর আগে যতবারই টিআরএম বন্ধ করা হয়েছে, জলাবদ্ধতা ততবারই বেড়েছে। বক্তরা আরও বলেন, ৪৭৬ কোটি টাকা ব্যায়ে বেতনা নদী কাজ শুরু হয়। সেটা চার বছর অতিবাহিত হলেও বেদনা নদী খনন শেষ হয়নি। নদীর পানি এখন নদীতে না যে গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করছে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা না করার ফলে এগুলো হচ্ছে। বেতনা, মরিচ্চাপ ও কপোতাক্ষ অববাহিকার ৫ লক্ষ মানুষ তারা পানিবন্দী। জলাবদ্ধতার কারণে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। অপরিকল্পিত মৎস্য ঘেরের কারণে আজ জেলার অধিকাংশ মানুষ পানি বন্দি। জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পনা জরুরী।