নিজস্ব প্রতিনিধি : মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ার জেরে ওমর ফারুক (২০) ও ফেরদৌস হাসান(২২) নামে দুই তরুণকে পিটিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে সাতক্ষীরার রাজারবাগান সংলগ্ন উত্তরপাড়া এলাকায়। ঘটনার পর আহত দু’জনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা যথাক্রমে একই এলাকার শুকোর আলী ও বাবু গাজীর ছেলে।
জানা যায় রাজারবাগান কলেজ এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে জামাল হোসেন, নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ রায়হান, রাজার ছেলে রাব্বি, সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ হোসাইনসহ সাত/আটজন মাদক কেনাবেঁচার সাথে জড়িত। তারা বাইরে থেকে মাদকদ্রব্য কিনে এনে এলাকার তরুন এবং উঠতি বয়সীদের মধ্যে তারা খুচরাপর্যায়ে সেসব মাদক বিক্রি করে। বখাটে স্বভাবের এসব মাদক ব্যবসায়ী ইতিপুর্বে জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাদেকসহ ছাত্রলীগ নেতা কালাম, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার সুমন ও যুবলীগ নেতা অনুর আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে এমন অপকর্ম চালিয়ে আসছিল।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে ৫ আগষ্টের পটপরিবর্তনের পরপরই এসব মাদক ব্যবসায়ী সাময়িক সময়ের জন্য গা ঢাকা দেয়। এসময় এলাকায় মাদকের কোন প্রচলন ছিল না। তবে গত কয়েকদিন আগে এলাকায় ফিরে আসার পাশাপাশি তারা আবারও মাদক বিকিকিনি শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কানাঘুষা শুরু হলে শনিবার কয়েক গ্রামবাসী মিলে উক্ত বখাটেদের কাছে যেয়ে এলাকায় মাদক বিক্রি বন্ধের অনুরোধ করেন। তবে এসময় উত্তেজিত হয়ে ‘উপদেশ’ দিতে আসা গ্রামবাসীদের উপর তারা চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে।
একপর্যায়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে গেলেও এলাকার চিহ্নিত এসব মাদক ব্যবসায়ী দলবল নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে অভিযোগ জানাতে যাওয়া গ্রামবাসীদের বাড়িতে যেয়ে হামলার চেষ্টা করে। এসময় সেখানে উপস্থিত ওমর ফারুক ও ফেরদৌস হাসান বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র ও লোহার রড নিয়ে তাদের উপর হামলে পড়ে। পরক্ষনে গ্রামবাসীরা দলবদ্ধ হয়ে ধাওয়া দিলে হামলার সাথে জড়িতরা পালিয়ে গেলে পরিবারের সদস্যরা দুই তরুনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এঘটনায় ওমর ফারুকের মা মোছাঃ সারিনা বেগম বাদি হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। একই সাথে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পে।
