নিজস্ব প্রতিনিধি : তালা উপজেলার আগোলঝাড়া গ্রামে দীর্ঘদিনের দখলীয় সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ভূক্তভোগী তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে লিখিত আবেদন করলে তদন্তপূর্বক বাদীর পক্ষে রায় দেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর পূর্বে আগোলঝাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদ শেখ তার স্ত্রী জাহানারা খাতুনের নামে ভায়ড়া মৌজার ১৭৭ দাগে ৪২ শতক জমির মধ্য হতে ১৪ শতক জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছেন। গত ৫ আগষ্ট সরকারের পটপরির্তনের পরে র্দূবৃত্তরা গায়ের জোরে রাতের অন্ধকারে জোরপূর্বক সেই জমি দখল করার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন।
উভয় পক্ষের সাথে দীর্ঘ শুনানী শেষে বাদী অনুকুলে রায় প্রদান করেন। এবং প্রতিপক্ষের কাছ থেকে অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে দেখা যায় উক্ত জমিতে সারিবদ্ধ আম গাছের চারা লাগানো আছে। এলাকার মোঃ অহেদ বিশ^াস (৩২), সিরাজ খাঁ (৬৮), সোহারাব গাজী (৬৪), রিয়াজদ্দীন গাজী (৬০), জিন্নাত শেখ (৫০) মোসলেম গাজী (৭৫) ও ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান বলেন, মৃত দলিলউদ্দীনের ওয়ারেশের কাছ থেকে আব্দুল হামিদ শেখ তার স্ত্রীর নামে ১৪ শতক জমি ক্রয় করে সে অবধি ভোগদখল করে আসছে।
এ নিয়ে প্রতিপক্ষ মৃত মাদার গাজীর ছেলে মহিউদ্দীন গাজী, তার ছেলে ইমরান গাজী এলাকার র্দূবৃত্তদের নিয়ে এই জমি বিভিন্ন সময় দখলের চেষ্টা করে। জমিতে লাগানো গাছের চারা নষ্ট করার হুকমি দেয়। গত ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের পরে তারা রাতের অন্ধকারে জোরপূর্বক এই জমি দখল করে। হামিদ শেখ এসিল্যান্ড অফিসে মামলা করলে তিনিও বাদীর পক্ষে রায় দেন। জাহানারা খাতুনের ছেলে মুকুল হোসেন বলেন, প্রায় ২৫ বছর আগে আমার পিতা মায়ের নামে ১৪ শতক জমি ক্রয় করেন। সে থেকে আমরা দখলে আছি। প্রতিপক্ষ মৃত মাদার গাজীর ছেলে মহিউদ্দীন গাজী, তার ছেলে ইমরান গাজী জমি বিভিন্ন সময় দখলের চেষ্টা করে।
এমনকি এই জমি দখল করার জন্য প্রায়ই আমাদের মারধর করে। গত ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের পরে তারা সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে রাতের অন্ধকারে জোরপূর্বক এই জমি দখল করে। আমরা এসিল্যান্ড অফিসে মামলা করলে দীর্ঘ শুনানীর পরে আমাদের পক্ষে রায় দেন। এরআগে ইউপি সদস্য সহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে সালিশি মিমাংশার চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ মানতে রাজি হয়নি বলে জানান তিনি।
মহিউদ্দীন গাজীর ছেলে ইমরান হোসেন বলেন, আমরা একই ওয়ারেশের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছি। তারা জোরপূর্বক এই জমি করে খায়। আমরা দখলে গেলে তারা আমাদের বিরুদ্ধে এসিল্যান্ড অফিসে মামলা করে। এসিল্যান্ড তাদের পক্ষে রায় দেয়। এই জমি নিয়ে উচ্চ আদলতে মামলা চলমান বলে জানান তিনি।