তালা প্রতিনিধি : জরায়ুমুখে ক্যানসার রোধে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ১৩ হাজার ৫৬৭ কিশোরীকে দেওয়া হবে এক ডোজ এইচপিভি টিকা। এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০থেকে ১৪বছর বয়সী কিশোরীদের দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলরুমে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অ্যাডভোকেসি সভায় এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্যাভি ও পাথ এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এডভোকেসি সভায় সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মোঃ রাসেল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজীব সরদার।
এসময় বক্তব্য রাখেন পাটকেলঘাটা থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, তালা থানার ওসি (তদন্ত) ফারুক হোসেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার শেখ আল মামুন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সেখ ফিরোজ আহমেদ, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গাজী সাইফুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কৌশিক রায়, শহীদ কামেল মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গাজী জাহিদুর রহমান, তেরছি মাদ্রাসার সুপার সফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক সেলিম হায়দার প্রমুখ।
এডভোকেসি সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মোঃ রাসেল বলেন, সারা দেশে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বাংলাদেশে নারীদের ক্যানসারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যানসার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এ টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। সরকার এই টিকা বিনামূল্যে দিচ্ছে।
তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজীব সরদার বলেন, ‘আজকের কিশোরী আগামী দিনের মা। তাদের সুস্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষা। নারীদের জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে এইচপিভি টিকা সংযোজন করেছে। আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিয়ে জরায়ুমুখ ক্যানসার রুখে দিতে হবে। এ টিকা পেতে নিবন্ধন করতে হবে।
এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন তালা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ১৩ হাজার ৩৯৬ জন ছাত্রী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০-১৪ বছর বয়সী ১৭১ জন কিশোরীদের জন্য পরিচালিত হবে। তাদেরকে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ক্যানসার প্রতিরোধে শিক্ষক, অভিভাবক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। এ কার্যক্রমকে বাস্তবায়িত করতে সকলকে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
