অহিদুজ্জামান, দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটার ইছামতী নদীর কোমরপুর ও ভাঁতশালা ভেড়ি বাঁধ সংস্কার কাজে ব্যাপক দূনীর্তির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের কোমরপুর ও ভাঁতশালা গ্রামে ইছামতী নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিলে, এলাকায় মানুষের দূর দশার কথা চিন্তা করে কিছু দিন আগে ঢাকায় বিভিন্ন দপ্তরে চাকরিরতদের মাধ্যমে অস্থায়ী সংস্কার কাজের জন্য ২৫ লক্ষ টাকার বাজেট আসে কিন্তু সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভাঁতশালাতে কিছু টা কাজ হলেও কোমরপুরে সংস্কারের কাজ চলছে জোড়া তালি দিয়ে।
ভেড়িবাঁধ ভাঙ্গনে তারা কিছু দিন আগে গাছের গুড়ি পুতে রড় দিয়ে টানা দিয়েছিলো কিন্তু জোয়ারের পানির চাপে সেই রড় গুলা কেটে যায়, তাই সে গুলা আবার জোড়া দিয়ে চলছে কোন রকম দায় সাড়া সংস্কারের কাজ।
ব্যাপারে পারুলিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জামায়াতের আমির মাহবুবল আলম বলেন, কোমরপুরে কাজের ঠিকাদার আব্দুর রাজ্জাক, তার শালা আতাউর রহমান আতা পানি উন্নয়ন বোর্ডে চাকরি করে তাই তারা শালা দুলাভাই মিলে এই কাজ টা করছে কিন্তু এখানে আমরা জামায়াতের পক্ষ থেকে ৪ টলি ইট দিয়েছিলাম তারা কাজ শুরু করার আগে। আমরা যে টুকু জানি ইছামতী নদী ভাঙ্গনে ১৩ লক্ষ টাকা বাজেট হয়েছে কিন্তু ১-২লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে কিনা সন্দেহ আছে।
আমরা এলাকা বাসী প্রতিনিয়ত আতঙ্কে মধ্যে থাকি কখন ভেঙে লোকালয়ে পানি ঠুকে। কিন্তু তারা তাদের গাফিলতির কারণে এই কাজটা হচ্ছে না সেই সাথে কয়টা গাছের গুড়ি পুতে উপরে বস্তা দিচ্ছে এতে করে ভেড়ি সংস্কারের কাজ ঠিক মত হচ্ছে না, তাছাড়া ভেড়ি বাঁধের গোড়াতে মাটি না দেওয়ার জন্য এই ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গ্রামবাসী বলেন, আমি আতাউর রহমান আতার কাছে ফোন দিলাম যাতে এখানে একটু টেকসই ভেড়ি বাঁধ হয়।
সেখানে আতাউর রহমান বলেন, এখানে যদি টেকসই ভেড়ি বাঁধ দিতে হলে আমার দুলাভাইয়ের কিছু থাকবে না। স্থানীয় মেম্বার হিরা বলেন, ইছামতী নদী ভাঙ্গনের জন্য এলাকায় মানুষ আতঙ্কে থাকে, এই তো গত জোয়ারে পানিতে ভেড়ি বাঁধ ছাপাইতে শুরু করে কিন্তু এলাকায় নিজে উদ্যোগে এখানে বালির বস্তা ফেলে সংস্কারের জন্য কোন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি, তবে সাগরে নতুন করে ঘূর্নিঝড় তৈরি হচ্ছে ঝড়ের সময় আমাদের বেড়িবাঁধ টিকবে কিনা সন্দেহ হচ্ছে।
অপর দিকে ভাঁতশালা ভেড়ি বাঁধে গিয়ে দেখা যায় ওখানে গাছের গুড়ি পুতে কিছু বস্তা ইট ও সুরকি ফেলা হয়েছে, স্থানীয় একজন বলেন, এখানে যত বস্তা ইট ও সুরকি ফেলা হয়েছে বেশির ভাগ বস্তা ফেলেছে বিভিন্ন সংগঠন ও এলাকা বাসীর পক্ষ থেকে। ঠিকাদার রাজ্জাক কিছু গাছের গুড়ি, টিন ও রড় দিয়ে টানা দিছে।
তিনি আরো বলেন, এখানো এখন পর্যন্ত যে কাজ হয়েছে তাতে টোটাল ২-৩ থেকে লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে তবে এখানে বাজেট ছিলো ১২ লক্ষ টাকা। ভাঁতশালা ও কোমরপুর মানুষের মাঝে এখন প্রশ্ন জেগেছে যে এখানে তারা কি আসলে কাজ করছে নাকি কাজের নামে হরি লুট করছে। এব্যাপারে এলাকায় সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।