শেখ বাদশা, আশাশুনি ব্যুরো : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দলকে হাতিয়ার বানিয়ে ইতিপূর্বে দেখিয়েছে ক্ষমতার দাপট। কাজের মান ও ধীরগতির বিষয়ে প্রতিবাদ করলেই আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব দেখিয়ে সায়েস্তা করা হতো প্রতিবাদকারীকে। এমনকি কাজের গুনগত মান নিয়ে এলজিইডি কর্মকর্তারা প্রশ্ন তুললে খুলনা শেখ বাড়ির টেলিফোনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে দাবিয়ে রাখা হতো।
এমনই অভিযোগ রয়েছে খুলনা এস আর ট্রেডার্স এর পরিচালক শহিদুল ইসলাম অরফে সোহেল হোসেনের বিরুদ্ধে। তিনি আশাশুনি উপজেলার কুল্যার মোড় টু বাঁকা সড়কের ২২১৩মিটার সংস্কার কাজ, বড়দল বাজার টু খাজরা ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার এলজিইডি সড়ক, বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কাপসন্ডা বাজার গামী ২৭০০ মিটার এলজিইডি সড়ক, বুধহাটা ইউনিয়নের পাইথালী বাজার থেকে শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদ গামী ১৯৫০ মিটার এলজিইডি সড়ক সংস্কার কাজের টেন্ডার গ্রহণ করেন।
এ সকল সড়কের সংস্কার কাজের মেয়াদ পর্যায়ক্রমে শেষের পথে ও শেষ হলেও অধিকাংশ সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করেননি তিনি। কুল্যার মোড় থেকে বাঁকা দরগাহপুরগামী সড়কটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক হওয়া সত্বেও খুলনা এস আর ট্রেডার্স এর পরিচালক শহিদুল ইসলাম অরফে সোহেল হোসেন সংস্কার কাজ ফেলে রেখেছেন দীর্ঘদিন যাবত। এর ফলে চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্যে জরুরী যোগাযোগ ও যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ এলাকার সাধারণ মানুষের।
একই সাথে খাজরা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার হাজার হাজার মানুষের সাতক্ষীরা জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের সহজতম যোগাযোগ ব্যবস্থা খাজরা ইউনিয়ন পরিষদ টু বড়দল বাজার এলজিইডি সড়ক। এ সড়কটিও অনুরূপভাবে ফেলে রেখেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। একই অবস্থা বড়দল বাজার টু কাপসন্ডা বাজার গামী এলজিইডি সড়কের।
এদিকে পাইথালী বাজার টু শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদ গামী ১৯৫০ মিটার এলজিইডি সড়কের কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বুধহাটা ও শোভনালী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের।
এ বিষয়ে দুরগাহপুর ইউপির সাবেক ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সোহেল হোসেন খুলনা শেখ বাড়ির প্রভাব খাঁটিয়ে খেয়াল খুশিমত কাজ করে গেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশাশুনি উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা অনিন্দ্যাদেব সরকার বলেন এ সকল সড়কের সংস্কার কাজ অতি দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার নোটিশ প্রদান করা হলেও তিনি কর্ণপাত করছেন না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
খুলনা এস আর ট্রেডার্স এর পরিচালক শহিদুল ইসলাম অরফে সোহেল হোসেনের সাথে যোগাযোগের জন্য তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমতাবস্থায় এ সকল সড়কগুলো অতি দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে চলাচলের উপযোগী করে তুলতে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।