শেখ বাদশা, আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার কুল্যা, কাদাকাটি ও দরগাহপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম অতি বর্ষণের ফলে প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন তিন ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বাড়িঘর, প্লাবিত হয়েছে খাল বিল ও মৎস্য ঘের।
এ সকল এলাকার অতি বর্ষণের পানি কাদাকাটি হাজিরহাটের খাল ও হলদেপোতা খাল দিয়ে বেতনা নদীতে নিষ্কাশন হয়ে থাকে। ব্রীজের মুখে নেটপাটা বসিয়ে পয়ঃ নিস্কাশনে বাধা সৃষ্টি করে আসছিল গাবতলা গ্রামের অর্জুন কুমার দাশের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। সম্প্রতি প্রচুর বৃষ্টিপাত ও পার্শ্ববর্তী তালা ও সদর উপজেলা থেকে নেমে আসা পানির চাপে কাদাকাটি, কুল্যা ইউনিয়ন ভেসে গেছে।
মানুষের চরম দুর্গতির মধ্যেও চক্রটি শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পর ট্রাকে করে বস্তাভর্তি মাটি নিয়ে আসে ব্রীজের কাছে এবং আড়াআড়ি বাঁধ দেয়ার চেষ্টা করে। এর ফলে তিন ইউনিয়নের অতি বর্ষণের পানি নিষ্কাশন হওয়া ব্যাহত হবে বলে জানান স্থানীয়রা। খালে বাঁধ দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় কয়েক শত প্লাবিত এলাকার মানুষ অর্জুন গংদের ধাওয়া করে। জনরোষে অবস্থার বেগতিক দেখে অর্জুন গং দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ সময় উত্তেজিত জনতা ব্রিজের নিচ থেকে বাঁধ দেওয়া মাটির বস্তা অপসারণ করে এবং খালের সকল নেট-পাটা ও জাল অপসারণ করে তাতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। মানুষ ব্রীজের কাছ থেকে আবুল সানার বাড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ এলাকার নেটপাটা অবমুক্ত করে ফেলে। এলাকাবাসীর তড়িৎ প্রতিরোধে নদীর পানি নিস্কাশনের পথ সচল হয়েগেছে তবে গাবতলা এলাকার অর্জুন ও তার দলবল বর্তমানে গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।