বিলাল হোসেন, শ্যামনগর ব্যুরো : সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবন বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে বনদস্যুদের কাছ থেকে ১০ জেলে ও ১ রাউন্ড গুলি সহ সোলার প্লেট উদ্ধার করেছে। উদ্ধারের সময় বন বিভাগের পক্ষ থেকে ৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে হয়। বনদস্যুরা মুক্তিপণ আদায়ের জন্যে গত বৃহস্পতিবার থেকে জেলেদেরকে আটক করা শুরু করে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার ভোর থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চুনকুড়ি নদীর তকতাখালি এলাকায় অভিযান চালায়।
বন বিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে বনদস্যুরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। জেলেদেরকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে বন বিভাগের সদস্যরা বনদস্যুদের লক্ষ্য করে ৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে বনদস্যুরা পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত জেলেদেরা হলেন, মুন্সিগঞ্জ চুনকুড়ি গ্রামের আব্দুল আলিম, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মোঃ নুর ইসলাম, ছোট ভেটখালি গ্রামের মোঃ হাফিজুর রহমান, রাজু ফকির, শফিকুল ইসলাম,দুরমুজ খালি গ্রামের রফিকুল ইসলাম, হরিনগর গ্রামের মফিজুর রহমান, মোহাম্মদ ইসাক সানা, বড় ভেটখালী গ্রামের মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
চুল কুড়িগ্রামের কাকড়া জেলে নজরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে চুনকুড়ি নদীর ধানুখালি এলাকা থেকে ২জন ডাকাত আমাকে তুলে নেয়। আমার সাথে থাকা অন্য ছেলেদেরকে মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার জন্য তাদেরকে ছেড়ে দেয়। যেদিন আমাকে তুলে নিয়েছে ওই দিন থেকে। তারা আমার উপর বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন দিয়েছে।
আজ সকালে ফরেস্টাররা অভিযান চালিয়ে আমাদেরকে উদ্ধার করে। হরিনগর গ্রামের মফিজুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে আমাকে সুন্দরবনের তক্তাখালী এলাকা থেকে দুইজন বনদস্য তুলে নেয়। বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে পাঠানোর জন্য বাকি জেলেদেরকে ছেড়ে দেয়। রবিবার সকালে বন বিভাগের ফাইবার বোর্ড দেখে ২ জন বনদস্যু সুন্দরবনের উপর উঠে বন বিভাগের উপর গুলি চড়তে শুরু করে। বন বিভাগের সদস্যরা আমাদের নিরাপদ জায়গায় রেখে বনদস্যুদের ধাওয়া করে। অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া কদমতলা স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেন বলেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে রবিবার সকাল থেকে চুলকুনি নদীর তত্ত্বাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বনদস্যুদের কাছ থেকে ১০ জন জেলে তাদের ব্যবহৃত ১ রাউন্ড গুলি এবং একটি সোলার প্যানেল উদ্ধার করে।