শ্যামনগর ব্যুরো : শ্যামনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী কৈখালী ইউনিয়নের পরানপুর বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় কালিন্দী নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। হঠাৎ কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে বাঁধটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। অতিরিক্ত পানির চাপে বাঁধের নিচের অংশ বসে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়রা।
এছাড়া ভারতীয়রা নিজেদের বেড়িবাঁধের ভাঙন রোধ করতে কালিন্দী নদীর বেকের মাথায় কারেন্টের খুঁটি ফেলছে। পানির ঢেউয়ের পরিমাণটা বাংলাদেশের পারের বেড়িবাঁধে লাগছে। এর ফলে মূলত ভাঙন তৈরি হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জানান, ৭০ মিটারের মতো কালিন্দী নদীর বেড়িবাঁধে ভেঙে গেছে। ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হয়েছে। গত ৪ মাস আগে অল্প জায়গায় এ ভাঙন দেখা দেয়।
পরানপুর গ্রামের আমির আলী জানান, গত ৪ মাস আগে এই জায়গাটাই অল্প ফাটল দেখা দেয়। দিন যতদিন পার হচ্ছে ভাঙন বাড়তেই আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভেকু মেশিন দিয়ে কাজ শুরু করেছে। দীর্ঘস্থায়ীভাবে কাজ না করা গেলে আবার ভেঙে যাবে।
একই এলাকার নুর ইসলাম শেখ জানান, নদীর বেকন থাকার কারণে। সরাসরি পানির যে ডেওয়ের ধাক্কা এই জায়গায় লাগার কারণে ভেঙে যাচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে ভাঙন তত ভয়ংকর হচ্ছে। স্থায়ীভাবে কাজ করা না গেলে এখান থেকে কয়েকদিন পর আবার ভেঙে যাবে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বলেন, গত কয়েক মাস আগে পরানপুর বিজিবি ক্যাম্পের বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দেয়। যত দিন যাচ্ছে তত ভাঙ্গনের পরিধি বাড়ছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে কাজ শুরু করেছে। কয়েকদিনের মধ্যে ভাঙনের পাশ দিয়ে সাপোর্টিং বাঁধ হয়ে যাবে। তবে এটা স্থায়ী কোন সমাধান না। এখানে ভাঙার কারণ হলো ভারতীয়রা তাদের ভাঙ্গন রোধ করার জন্য তাদের পারে কারেন্টের প্লেয়ার ফেলাচ্ছে। ওই পানির ঢেউ আমাদের এলাকার বেড়িবাঁধে গায়ে লাগছে এ জন্য ভাঙন তৈরি হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার উপসহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা বলেন, বাংলাদেশের পারে যে জায়গাটা ভাঙছে সেখানে নদীতে বেক থাকার ফলে ভারতীয়রা তাদের ভাঙ্গন রোধ করতে। বেকের মাথায় কারেন্টের খুঁটি ফেলায়। যে কারণে পানির পুরো ঢেউটা বাংলাদেশের বেড়িবাঁধে লাগছে। এজন্যে দিন দিন ভাঙান বেশি হচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে ঘের শুকায় দিয়ে কাজ শুরু করেছি। কয়েকদিনের মধ্যে ভাঙান রোধ করা সম্ভব হবে।