বিশেষ প্রতিনিধি : সদর উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক অরবিন্দু মন্ডলকে (৮০) হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার ছেলে বিশ্বনাথ মন্ডল ও পুত্রবধূ কবিতা মন্ডলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি দেখে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ। এর আগে সোমবার এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার অরবিন্দু মন্ডল বাঁশতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক।
অরবিন্দ মন্ডলের মেয়ে অঞ্জনা মন্ডল বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমার বাবার গচ্ছিত এক লাখ টাকা হারিয়ে যায়। পরে আবারও ৫০ হাজার টাকা হারিয়ে যায়। অভিযোগ আছে, আমার ভাইয়ের স্ত্রী কবিতা মন্ডল সেই টাকা সরিয়েছেন। সেই টাকা তিনি স্থানীয় এক মেম্বারের কাছে সুদে খাটান। বিষয়টি জানাজানি হলে সেই টাকা বাবা ফেরত চাইলে তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে প্রায়ই বাবাকে নির্যাতন করতেন। সোমবার সকালেও বাবাকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে ভাই ও তার স্ত্রী। বিষয়টি স্থানীয় এক যুবক ভিডিও করে ফেসবুকে ছাড়লে প্রশাসনের নজরে আসে।’
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি আমার নজরে আসার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে বিশ্বনাথ ও তার স্ত্রী পলাতক। তবে এ ঘটনায় অরবিন্দু মন্ডল থানায় কোনো অভিযোগ করতে চান না। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে, এতকিছুর পরও ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিতে চান না অরবিন্দু মন্ডল।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের দুটি সন্তান। তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছি। তাছাড়া নিজের সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা করবো কীভাবে?’