নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় জেন্ডার বৈষম্যহীন ও অধিকারভিত্তিক যক্ষ্মা পরিসেবা প্রদানেরলক্ষ্যে সামাজিক অর্ন্তভূক্তির জন্য জেলা পর্যায়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রীতি এইড ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বুধবার সোনারগাঁ কনভেনশন সেন্টারেঅনুষ্ঠিত সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন, সম্প্রীতিএইড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সভারঞ্জন শিকদার। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন আব্দুস সালাম।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল খায়ের, সদও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ ফরহাদ জামিল, মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত সরকার, ডাঃ ইসমত জাহান সুমনা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি বৃৃন্দ, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও প্রতিনিধিগন এবং সাংবাদিক বৃন্দ।
সেমিনারে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মধ্য দিয়ে যক্ষ্মা কি, যক্ষ্মা রোগের ধরন, যক্ষ্মা রোগ কিভাবে ছড়ায়, যক্ষ্মা রোগে কারা আক্রান্ত হয়, যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ, যক্ষ্মা রোগীদের সামাজিক কলঙ্ক ও জেন্ডার বৈষম্য, যক্ষ্মা রোগীদের অধিকার, যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি, যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা পাওয়ার স্থানসমুহ, জাতীয় আইন, নীতিমালা ও সুপারিশ সমুহ উপস্থাপন করেন বিশেষ অতিথি ডাঃ ইসমত জাহান। আরওবক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিমু বিকাশ কেন্দ্রের ডাঃ জিল্লুর রহমান, হাসপাতাল, ডাঃ মোঃ আশরাফুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার, সদর হাসপাতাল, সাতক্ষীরা, নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্র্তা, সাতক্ষীরা, মশিদুল হক, শহর সমাজসেবা কর্মকর্র্তা, সাতক্ষীরা, আয়েশা খাতুন, সদর উপজেলাসমাজসেবা কর্মকর্র্তা, সাতক্ষীরা, সৈয়দ হাসান মাহমুদ, পরিচালক, ঋষিফাউন্ডেশন, প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী, ফিজিও থেরাপিস্ট ও সহকারী ম্যানেজার, স্বাস্থ্যবিভাগ, ঋশিল্পী, জামাল উদ্দীন হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার, ব্রাক যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণকর্মসূচী সাতক্ষীরা সদর।
প্রধান অতিথি বলেন, সরকার যক্ষ্মা রোগের জন্যযাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় বহন করছে এবং সকল সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো জেন্ডার বৈষম্যহীন ও অধিকারভিত্তিক যক্ষ্মা পরিসেবা প্রদান করছে। এরপরও কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। সেগুলোর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে ঈঝঙ সমুহ সরকারেরপাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। তিনি উপস্থিত অতিথিদের যক্ষ্মা পরিসেবা সংক্রান্তবিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং বলেন বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য ২০৩৫ সালের মধ্যেআমাদের দেশ থেকে যক্ষ্মা রোগ বিদায় করতে হবে। তাই আমরা সম্মিলিতভাবে এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করব।