শেখ নুরুজ্জামান (কালিগঞ্জ) সদর প্রতিনিধি : ভাপা পিঠা বাংলাদেশ ও ভারতের একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা-১,২,৩ যা প্রধানত শীত কালে প্রস্তুত করা হয় ও খাওয়া হয়। এটি প্রধানত চালের গুঁড়া দিয়ে জলীয় বাষ্পের আঁচে তৈরী করা হয়। মিষ্টি করার জন্য দেয়া হয় গুড়।
স্বাদ বৃদ্ধির জন্য নারকেলের শাঁস দেয়া হয়। ঐতিহ্যগতভাবে এটি একটি গ্রামীণ নাস্তা হলেও বিংশ শতকের শেষভাগে প্রধানত শহরে আসা গ্রামীণ মানুষদের খাদ্য হিসাবে এটি শহরে বহুল প্রচলিত হয়েছে। রাস্তাঘাটে এমনকী রেস্তোরাঁতে আজকাল ভাপা পিঠা পাওয়া যায়। এই পিঠা অনেক অঞ্চলে ধুপি নামেও পরিচিত।
এর ধরনের মধ্যে রয়েছে মিষ্টি ভাপা ও ঝাল ভাঁপা শীত শুরু হতে না হতে চলছে অগ্রহায়ণ মাস হেমন্তকালের দ্বিতীয় মাস ক্যালেন্ডারের পাতায় শীতকাল জোরে সরে না এলেও হিমহাওয়া জানান দিচ্ছে শীতের আগমন বার্তা। কালিগঞ্জের অলি গলিতে রাস্তায় রাস্তায় ভাপা পিঠের উৎসব আমেজ বয়ে যাচ্ছে দেখা মিলছে শীতের রাত্রে।
এ লক্ষ্যে কালিগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে ভ্যানে চুলা বসিয়ে আবার কোথাও অস্থায়ী দোকান বসিয়েও বিক্রি হচ্ছে শীতের ভাপা পিঠা, ব্যস্ত এই শহরে চলতি পথে কর্মজীবী, সাধারণ মানুষ, দিনমজুর থেকে শুরু করে নানা শ্রেণীর মানুষ সেখান থেকে পিঠা কিনে খাচ্ছেন আবার কেউ কেউ বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন এদিকে পিঠা বিক্রি করতে মৌসুমী বিক্রেতাদের আগমন করে রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নিচে চুলা নিয়ে বসছেন পিঠা তৈরি ও বিক্রি করতে অনেকে অস্থায়ীভাবে তৈরি করে নিয়েছে। ভাপা পিটার স্টল অন্য বছরের তুলনায় পিঠার দামও একটু বেশি।
তবে ৫ টাকায় কোন পিঠা এখন আর নেই গত বছর মতো এবারও পিঠার দাম ১০ টাকা একটি সর্বনি¤œমানের পিঠা। বিক্রেতারা বলছেন বর্তমান বাজার মূল্যে ১০ টাকার নিচে পিঠে বিক্রি করার কোন সুযোগই নেই তাই বিকাল থেকে রাত্র পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন সড়ক এবং জনবহুল এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে ভাপা ধুতি পিঠার পাশাপাশি গরম চিতই পিঠার জন্য রীতিমতো অপেক্ষা করতে হচ্ছে ক্রেতাদের সিরিয়ালে ক্রেতাদের পছন্দ অনুসারে খেজুরের গুড় আখের গুড় নারকেল ও বিভিন্ন ভর্তা এবং মসলা দিয়ে ক্রেতাদের পিঠা সরবরাহ করছে বিক্রেতারা তাই কালিগঞ্জ নাজিমগঞ্জ উপজেলা মোড়ে পিঠা ব্যবসায়ী শেখ কিবরিয়া হোসেন জানান তিনি গত ৫ বছর ধরে পিঠা বিক্রি করে আসছে এক একটি পিঠার দাম মাত্র ১০ টাকা পিচে বিক্রি করে আসছেন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর২০২৪) সন্ধ্যায় উপজেলা মোড়ে ভাবা পিঠা খেতে আসা দিপু মন্ডল, শাহিন হোসেন, আজগর আলী,নাঈম হোসেন, রাজমিস্ত্রি মকবুল হোসেন ও ভ্যান চালক জবেদ আলী ও কালিগঞ্জ ক্রিকেট একাডেমির ক্ষুদে প্লেয়ার রোহান হোসেন নামে এক ক্রেতা জানান পিঠা তো একটা আবেগের বিষয় তখন বাড়িতে থাকতাম তখন দাদা-দাদি নানা-নানী পাশাপাশি মা পিঠা বানিয়ে খাওয়ার মত আর সুযোগ হয় না। ফলে মৌসুমে এই পিঠাগুলো চোখের সামনে পড়লেই পুরানো কথা মনে পড়ে যায়।
খোলামেলা বাহিরের অস্থায়ী দোকানে খুব ভালো হোক বা না হোক একটু খাওয়ার চেষ্টা করি তাই শুধু শহরে আশেপাশেও বিভিন্ন এরিয়াতেও মৌসুমী পিঠার দোকানগুলো বসেছে সেখান থেকে শুধু ভাপা চিতই ও তেলের পিঠা নয় আরো বাহারি পিঠার আয়োজন রয়েছে সাইজ ও উপকরণ ভেদে এক একটি পিঠার দাম ১০ টাকা থেকে ৮০ টাকার মধ্যে রয়েছে। কালিগঞ্জ জুড়ে দিন দিন পিঠার দোকান ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।