মণিরামপুর প্রতিনিধি : মনিরামপুরে অস্বাভাবিক হারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোয় শুধু নিম্নবিত্ত নয়, দুর্বিষহ উঠছে মধ্যবিত্তের জীবনও। চাল, ডাল, চিনি, তেল সবকিছুরই দাম বাড়ছে লাগামহীন গতিতে। নিয়ন্ত্রণে নেই চালের বাজারও। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের এমন ঊর্ধ্বমূল্যের কারণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিকেজি মোটা চাল ৫৫, মাঝারি ৬০ ও চিকন ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শাক-সবজি ও চালের দাম বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত এবং নিম্নআয়ের মানুষের জন্য অতিরিক্ত বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরেজমিন মনিরামপুর পৌরশহরের কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, গোল বেগুন ৮০, লম্বা বেগুন ৬০, টমেটো ১৮০, করলা ৮০, শিম ৮০, নতুন আলু ১০০, পুরানো আলু ৮০, কাঁচা পেঁপে ৩৫, শসা ৫০, গাজর ১০০, ফুলকপি ৫০, বরবটি ৬০, চিচিঙ্গা ৪০, কাঁচামরিচ ১০০, পেঁয়াজ (দেশি) ১২০, পেঁয়াজ (ইন্ডিয়ান) ১০০, রসুুন (দেশি) ২৪০, রসুন (ইন্ডিয়ান) ২২০ টাকা।
এছাড়াও লাউর পিস ৪০, পাতা কপি পিস ৩০, পালন শাকের আঁটি ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচাবাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। ক্রেতারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সাইফুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় এমন কোনো পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। সংসার চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ছে। আমরা যারা সাধারণ মানুষ তারা হিমশিম খাচ্ছি। সবকিছুর দাম এভাবে বাড়তে থাকলে চলার উপায় থাকবে না। বাজার করতে আসা ইউসুফ আলী বলেন, আমাদের উপার্জন কম। তাই সব কিছুই হিসেব করে কিনতে হয়।
কিন্তু ইদানিং মাছ-মাংসের সাথে যেভাবে সবজির দাম বােেড়ছ তাকে আমাদের বেঁচে থাকায় মুশকিল। সরকার যদি শক্ত হাতে বাজার সিন্ডিকেট না ভাঙে তাহলে আমাদের সাধারণ মানুষের কষ্ট দূর হবে না। সবজির দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে মনিরামপুর বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, শীতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। বাজারে সবজির দাম বাড়তি। কারণ হল এখনো শীতকালীন সবজির পুরোপুরি মৌসুম আসেনি।
ফলে এগুলোর দাম বেশি। মূলত শীতকাল আসার আগ পর্যন্ত সবজির দাম এমন বাড়তিই থাকে। একই বাজারের চাল ব্যবসায়ী রবিন সাহা বলেন, আমরা মিল থেকে চাল কিনে বিক্রি করি। মিল মালিকরা বলছেন পুরাতন ধান কমে যাওয়ার কারণে চালের দাম বেড়েছে। অনেক জায়গায় নতুন ধান ওঠা শুরু হয়েছে আশা করা যায় ১৫-২০ দিনের মধ্যে চালের দাম একটু কমতে পারে। মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না বলেন, কোনো ব্যবসায়ী যদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এবং অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।