অহিদুজ্জামান, দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় পারুলিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে অপদ্রব্য পুষ করা চিংড়ি মাছ পরিবহনে উঠানোর সময়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জব্দ করা হয়েছে। বিদেশে রপ্তানি যোগ্য চিংড়ির ওজন বাড়াতে অপদ্রব্য পুষ করা চিংড়ি মাছ পরিবহনে উঠানোর সময়ে ১৬৯ কেজি মাছ জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর পারুলিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে জিএস পরিবহনে উঠানোর সময়ে সাড়ে ছয় টায় দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উক্ত মাছ জব্দ করে। জানা যায়, সখিপুর, পারুলিয়া ও গাজির হাট সহ বিভিন্ন মৎস সেট সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় ও মাছের ঘরে রপ্তানির পূর্বে গলগা চিংড়িতে সাবু, জেল জাতীয় অপদ্রব্য পুষ করে ওজন বাড়ানোর কাজ চলে আসছে। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান অভিযান চালিয়ে জরিমানা করার পরও এ অপদ্রব্য পুষ করা বন্ধ হয় নাই।
ইতিপূর্বেও তিনি এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়ার পরও পুষ করা কাজ বন্ধ না হওয়ায় ইতিমধ্যে তিনি আরও জোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান। এসময় তার সাথে ছিলেন দেবহাটা থানার সাব ইন্সপেক্টর রিয়াজুল ইসলাম, মেরিন এন্ড ফিসারিজ অফিসার সাজ্জাদ হোসেন,সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সহ বিভিন্ন মিডিয়াকর্মীরা। অভিযান কালে চিংড়িতে পুষ করার সামগ্রী ও পুষ করা জব্দ কৃত চিংড়ি মাছ জনসম্মুখে পুড়িয়ে বিনষ্ট করে মাটিতে পুতে ফেলা হবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান বলেন, সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম সম্পদ মৎস্য শিল্প কিন্তু কিছু মানুষ অতি মুনাফার আশায় চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুষ করে আসছেন। এতে এই জেলার মাছ রপ্তানিতে সুনাম নষ্ট হচ্ছে। চিংড়ি রপ্তানিতে সুনাম ফেরাতে এবং নিরাপদ মাছ রপ্তানির জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশ মোতাবেক এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অপদ্রব্য মেশানোর বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।