আলম হোসেন, কলারোয়া ব্যুরো : রোগীর তুলনায় পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছেন কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা কয়েকলক্ষাধিক মানুষ । চিকিৎসক সংকট থাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে চিকিৎসা সেবা পেতে জেলা শহরসহ দুরদূরান্তে ছুটছেন রোগীরা।
এতে অর্থনৈতিক ক্ষতিসহ নানানভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন এলাকার মানুষ। ৩৩ টি পদের বিপরীতে ২৬ টি পদে জনবল না থাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। যে কারনে বাধ্য হয়ে রোগীদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল অথবা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মেডিকেল অফিসার না থাকাই অনেক সময় আউটডোরে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন মেডিকেল এসিস্ট্যান্টরা।
এই হাসপাতালে নেই কোন অর্থপেডিকস, শিশু বিশেষজ্ঞ এমনকি ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই কোন ডাক্তার। হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী জুনিয়র কনসালটেন্ট-গাইনী, সার্জারি, মেডিসিন, এ্যান্সেথেসিয়া, ইএনটি, অর্থ-সার্জারি, কার্ডিওলজি, চক্ষু, শিশু, চর্ম ও যৌন, ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার, ইনডোর মেডিকেল অফিসা, এমও/হোমিও/ইউনানী/আয়ুর্বেদি, প্যাথলজিষ্ট, এ্যানেসথেটিষ্ট, পদ গুলো শূন্য। ৩ জন মেডিকেল অফিসারের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ১ জন চিকিৎসক। তাই একজন ডাক্তারকেই প্রায় সময়ই ২৪ ঘন্টা ডিউটি করতে হয়। যদি কোন ডাক্তার ছুটিতে বা ট্রেনিং এর কারণে বাইরে থাকে তাহলে ভোগান্তি আরো বৃদ্ধি পায়।
কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে মাসে আউটডোরে সেবা নিয়েছেন ৯ হাজার ৭ শত ৬৫ জন ও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সেবা নিয়েছেন ১ হাজার ৬২ জন। শীতকাল থাকায় চলতি মাসে বেড়েছে শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া সহ ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালে বিশেষ করে শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেবা নিতে আশা অনেকেই।
এ বিষয়ে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শফিকুল ইসলাম বলেন, এখানে ৩৩ জন ডাক্তারের থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৪ থেকে ৫ জন আমরা চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছি। এখন রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে আশা করছি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে। এবিষয়ে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিকল্পনা অফিসার বলেন, আমরা দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করছি।