মণিরামপুর প্রতিনিধি : প্রচন্ড শীতে মণিরামপুরে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সেইসাথে শিশু ও বয়স্করা ঠান্ডা জ্বর, কাশি পেটের পিড়া, ডায়রিয়া,নিমোনিয়া ও শ্বাস কষ্ট জনিত নানাবিধ রোগে ভুগছে। গত কয়েক দিনব্যাপি এ সব রোগে আক্রান্ত রুগীরা মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকে এসে চিকিৎসা নিয়েছে। এদের অনেকে হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। আবার বহু রুগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
সরেজমিন বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেয়ে দেখা যায়, এদিন আবাসিকভাবে ভর্তি হয়ে ৩৭ জন মহিলা ওয়ার্ডে এবং ১৭ জন পুরুষ ওয়ার্ডে মোট ৫৪ জন রুগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এ সব রুগীর মধ্যে ২০ জন শিশু। যাদের অধিকাংশই ডায়রিয়া, ঠান্ডা কাশি, জ্বর ও নিউমোনিয়ায় ভুগছে। আর বয়স্ক নারী-পুরুষ রুগীরা শ্বাস কষ্ট জনিত নানা সমস্যায় ভুগছে।
হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায় উপজেলার খানপুর গ্রামের মাইশা (১৬মাস), পাড়িয়ালী গ্রামের আবু বক্কর (১৭মাস), লাউড়ী গ্রামের আবু হুজাইফা (১৩মাস), তাওহিদ (১৫মাস), আরোশী (১৭ মাস) আয়শা খাতুন (২৬), সুন্দলপুর গ্রামের সুরাইয়া (২০) ডায়রিয়া ও পেটের পিড়ায় আক্রান্ত হয়ে আবাসিকভাবে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই ঠান্ডা জনিত কাশি, সর্দি জ্বর, হাপানি ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়েছে।
এ ছাড়া আবাসিকভাবে যে সব নারী-পুরুষ চিকিৎসা নিচ্ছে তাদের বেশিরভাগ শ্বাস-কষ্ট, পেটের পীড়া, বুকে ব্যাথা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সম্প্রতি শৈত প্রবাহ ও প্রচন্ড শীতের কারণে শীতকালিন ঠান্ডা জনিত সর্দি-কাশি ও জ্বর ও শ্বাস কষ্টের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিরা নানা উপসর্গে ভুগছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিভিন্ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকে রুগীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
যথাযথ চিকিৎসা সেবা নিয়ে এ সব রুগীরা সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে। তবে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত কিছু রুগীদের স্যালাইন ও ঔষধ সরবরাহে তঞ্চকতার অভিযোগ উঠেছে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের প্রতি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তন্ময় কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রচন্ড শীতে শিশু ও বয়স্কদের শীত কালিন ঠান্ডা জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া ও শ্বাস কষ্ট জনিত নানা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় বর্তমানে শিশু ও বয়স্করা নানা সমস্যায় ভুগছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রুগীদের আউটডোর ও আবাসিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং হাসপাতালে রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত ঔষধ ঠিকমত দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন।