শেখ নুরুজ্জামান, কালিগঞ্জ (সদর) প্রতিনিধি : কালিগঞ্জ উপজেলায় চটপটি ও ফুচকা বিক্রয় করে স্বাবলম্বী শেখ নুরুল হক। তিনি কালিগঞ্জ উপজেলা কুশুলিয়া ইউনিয়নের বাজার গ্রামের বাসিন্দা। সে এখন স্বাবলম্বী তার সংসারে সফলতা ফিরে এসেছে । তাই তিনি কালিগঞ্জ উপজেলা সহ বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমান চটপটি ফুচকা ঝাল মুড়িও সিঙ্গারা বিক্রয় করে থাকে।
কালিগঞ্জ উপজেলার স্কুল কলেজ ও বিভিন্ন জায়গায় নুরুল হক ভাই ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভ্রাম্যমান একটি গাড়িতে করে কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও মাহফিলে যেয়ে চটপটির পাশাপাশি ফুচকা ঝাল মুড়ি সিঙ্গারা পিয়াজু বিক্রয় করে থাকে। তাই কালিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার দূর দূরান্ত থেকে ছোট বড় নারী পুরুষ সব ধরনের ব্যক্তিরা ঝালমুড়ি চটপটি ফুচকা খাওয়ার জন্য চলে আসে নুরুল হক ভাইয়ের কাছে। গরম কিংবা যে কোন ঋতুতে বারো মাস ঝালমুড়ি ফুচকাও চটপটি যে সাধারণ মানুষ তৃপ্তি পায়।
তাই কালিগঞ্জ উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠানে নুরুল হক ভাইয়ের ঝালমুড়ি পাওয়া যায়। এবং তিনি সুনামের সাথে ঝালমুড়ি চটপটি ফুচকা বিক্রয় করে আসছেন। তার ঝালমুড়ি খেতে আসা ক্রেতা নাঈম হোসেন, সবুজ গাজীও রাজ্জাক গাজী সহ আরো অনেকে বলেন আমরা প্রায় সময় নুরুল হক ভাইয়ের ঝাল মুড়ি খেয়ে থাকি এবং খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে ঝালমুড়িটি পরিবেশন করা হয়।
সেই সাথে স্বাদ বৃদ্ধির জন্য চুইঝাল ও দেওয়া হয় এবং বিখ্যাত ঝালমুড়ি চটপটি ও ফুচকা নামে পরিচিতি। তাই কালিগঞ্জে ঝালমুড়ি চটপটি ওফুচকার দোকান ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ ব্যাপারে রবিবার (৫ জানুয়ারি ২০২৫) সকালে কালিগঞ্জ সদরে অবস্থিত পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ভ্রাম্যমান চটপটির সরজমিনে উপস্থিত হলে তিনি প্রতিবেদককে জানান দিনমজুরি খেটে অনেক কষ্টের মধ্যে দিয়ে আমার সংসারের চাকা ঘুরতো বর্তমান আমি ভ্রাম্যমান দোকানে ঝাল মুড়ি, চটপটি, ফুচকা বিক্রি করে আমার পরিবারের ছেলে-মেয়ে স্ত্রী ও নাতি-নাতনি সহ ৫ সদস্য নিয়ে সুখী শান্তিতে আছি।
সকলের দোয়া ও ভালোবাসা পেলে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো ইনশাল্লাহ। তিনি আরো জানান এই ভ্রাম্যমান ভাজা বিক্রি করে আমার সংসার চালানোর পাশাপাশি একমাত্র ছেলেকে কালিগঞ্জ সরকারি ডিগ্রী কলেজে অনার্সে পড়াশোনা করাতে সক্ষম হয়েছি। তাছাড়া আপনাদের দোয়ায় আমার এই ক্ষুদ্র ব্যবসার মধ্য দিয়ে সময় মতো জামাতের সহিত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে থাকি।