রবিবার , ৫ জানুয়ারি ২০২৫ | ৫ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

উপকূলের মানুষ তীব্র শীতে কাঁপছে, খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
জানুয়ারি ৫, ২০২৫ ১১:২৭ অপরাহ্ণ

শেখ আমিনুর হোসেন : কনকনের ঠান্ডা, সঙ্গে হিমেল বাতাস। তীব্র শীতে জবুথবু সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের মানুষ। একটু উষ্ণতার জন্য কোথাও খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেছে সাধারণ মানুষ। রবিবার (০৫ জানুয়ারি ‘২৫) সন্ধ্যার পর থেকে উপক‚লীয় এলাকার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী, ভামিয়া, মুন্সিগঞ্জ জেলে পল্লী, নীলডুমুরসহ কয়েক স্থানে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে।

সন্ধ্যায় সুন্দরবন সংলগ্ন চুনা নদীর পাড়ে মুন্সিগঞ্জ জেলে পল্লীতে গিয়ে দেখা যায় চারদিকে গোল হয়ে বসেছেন কয়েকজন। এর মাঝে দেখা যাচ্ছে আগুনের শিখা। গত কয়েকদিনে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় এই উপক‚লীয় অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় চোখে পড়ে এমন চিত্র। মুন্সিগঞ্জ জেলে পল্লীর গোপাল সানা সাতক্ষীরা সকালকে বলেন, ‘ঘরের ভেতরেও যেন ঠান্ডায় থাকা দায়, বাইরে তো হাড়কাঁপুনি শীত। তাই কয়েকজনকে নিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত তাড়ানোর চেষ্টা করছি।’

মুন্সিগঞ্জ জেলে পাড়ার বাঘ বিধবা সোনামণি দাসী সাতক্ষীরা সকালকে বলেন, একটাই পাতলা ছেঁড়া কম্বল আমার সম্বল। রাতে এই পাতলা কম্বলডা পেঁচায়েই শুয়ে থাকি। শীতের আর কাপড় নেই। ঠান্ডা লাগলে কি আর করবো। সুন্ধে হলি (সন্ধ্যা হলে) খুব ঠান্ডা লাগে। এবার কেউ একটা খেতা (কাঁথা) কম্বলও দেইনি। এক কাপড়ে শীত যায় না, কেউ কাপড় দিতেও আসে না বাপ। শীতে টিকতি পারি না। কাপড় কেনার সাধ্য নেই। নদীতে কাঁকড়া ধরে খেতাম, সেটাও বন্ধ হয়ে গেল। এখন খাইতেই পাই না, আর শীতের কাপড় কিনবো কিভাবে। অনেক কষ্ট হয়।

’ বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ভামিয়া গ্রামের মৃত বাহার আলী সরদারের ছেলে গফুর সরদার (৭২) ও তার স্ত্রী খাদিজা বেগম (৬০) বসবাস করেন খলপেটুয়া নদীর চরে। দুই মেয়ে এক ছেলে তাঁদের। মেয়ে দুইটাকে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে থাকেন তাঁদের পাশেই। ছেলের কথা শুনতেই কান্না জড়িত কন্ঠে গফুর সরদার বলেন, ছেলের কথা আর শুনো না বাপু। ছেলে আমার নেই।

তাদের সংসার কিভাবে চলে এবং শীতের কাপড় আছে কিনা জানতেই গফুর সরদার বলেন, মানুষের কাছে চেয়ে সংসার চলে আমাদের। গ্রামে গ্রামে হাত পেতে যা পাই, তা দিয়ে তিনবেলা খাইতেই পাই না। শীতের কাপড়ের দাম বেশি, কেনার পয়সা নেই। ছেঁড়া কাপড়ে শীত যায় না। এত শীত পড়তেছে তা একটা কম্বল দেয়নি কেউ।

সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে এখনো শীতার্তদের মাঝে পর্যাপ্ত গরম কাপড় বা কম্বল বিতরণ করা হয়নি জানিয়ে স্থানীয়রা বলছেন, শীত নিবারণে গরম কাপড় বিতরণে বিত্তবানদের এগিয়ে আসা দরকার। হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে হাত-পা যেন অবশ হয়ে আসছে। ছেলে-মেয়েরাও ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারছে না। নিম্ন আয়ের লোকজন শীতবস্ত্রের অভাবে কাহিল হয়ে পড়ছে।

সাতক্ষীরার আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, রবিবার ৫ জানুয়ারি বিকেল ৫ টা পর্যন্ত পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়ার্স। গত ১৫ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আরও কমবে। ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সাতক্ষীরা সকালকে জানান সাতক্ষীরা জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন। শ্যামনগর উপজেলার প্রায় প্রায় চার লাখ জনসংখ্যার মধ্যে অন্তত সাড়ে তিন লাখ নিম্নবিত্তের শীতবস্ত্র, খাদ্য ও অর্থ সহায়তা দরকার। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ রনী খাতুন সাতক্ষীরা সকালকে জানান, শ্যামনগর উপজেলায় এখন পর্যন্ত ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে।

এটাকায় ভ্যাট ট্যাক্স কেটে ৯৪৭ পিস কম্বল কেনা হয়েছে। এরমধ্যে তারা এ পর্যন্ত ৫০০টির মতো কম্বল বিতরণ করেছেন। বাকি ৪৪৭ পিস কম্বল ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সমাজকর্মী কামরুল ইসলাম সাতক্ষীরা সকালকে বলেন, সমাজের অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সকলেরই নৈতিক দায়িত্ব। কনকনে শীতে ঠকঠক করে কাঁপা মানুষের গায়ে শীতবস্ত্র জড়িয়ে তার মুখে হাসি ফোটানোর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে। এর মাধ্যমে প্রকাশ পায় মানুষের প্রতি আমাদের মমত্ব ও ভালোবাসার। তাই এই শীতে সরকারের পাশাপাশি এই এলাকার বিত্তবানদের সমাজের অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন।

এদিকে শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ। শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক সাকির হোসেন সাতক্ষীরা সকালকে জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেছেন চিকিৎসকরা।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত

দেবহাটায় বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১

সরকারের উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে: প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য

সদর হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়নে কমিউনিটি অ্যাকশন মিটিং

রূপসী ম্যানগ্রোভ ঘুরে গেলেন বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিঞাঁ

তালায় সহিংসতার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের মিছিল ও সমাবেশ

কালিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে যানজট নিরসনে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

দেবহাটার পারুলিয়ায় বিনামূল্যে চক্ষু ক্যাম্প

সাতক্ষীরায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন

ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ সমাবেশ

সাতক্ষীরায় র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত