লিংকন আসলাম, আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনির চাপড়ায় মরিচ্চাপ নদী খননে গ্রাম রক্ষার দাবিতে আবেদনের প্রেক্ষিতে সরজমিন পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় আশাশুনির চাপড়া হাইস্কুলের সামনে মরিচ্চাপ নদীর ভাঙ্গন কুলে উপস্থিত হন। সাথে সাথে স্থানীয় বসতবাড়ী ভাঙ্গন কুলের শত শত ভূক্তভোগী নারী-পুরুষ উপস্থিত হয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে বাঁচার আকুতি জানান।
তারা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সামনে হতাশা আর ভারাক্রান্ত কন্ঠে জানান মধ্যম চাপড়া পূর্ব পাড়া গ্রামে একটি হাইস্কুল, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাদ্রাসা, একটি মহিলা মাদ্রাসা, তিনটি মসজিদ ও শত শত মানুষের বসবাস রয়েছে। নদী খনন সময়ের দাবী কিন্তু মানুষে বসবাসের সুবিধার্থে নদী ভাঙ্গন রোধ এবং তিন তিন বার নদী ভাঙ্গনের কারনে হাইস্কুল সরিয়ে ভেতরে স্থাপন করতে বাধ্য হয়েছে। মানুষের পাঁচ পাঁচ বার বাসস্থান ভেঙ্গে অন্যত্র বাসগৃহ তৈরী করতে হয়েছে।
স্থানীয় ভূক্তভোগীদের দাবি সিএস ম্যপে যে নদী রয়েছে সেখানে আশ্রয়ন প্রকল্প বাদে ৮০০ থেকে ১১০০ ফুট চওড়া খাস পথ রয়েছে। যাহা নদী খননের জন্য যথেষ্ট। তারপরও যদি বিআরএস ম্যাপ অনুযায়ী ৯০ বিঘা খাস জমির উপর দিয়ে নদী খনন করা হলে সকল প্রতিষ্ঠান সহ গ্রাম সুরক্ষা থাকবে বলে আমরা আশা করি। স্থানীয়রা পূর্বের নদী খনন থেকে শুরু করে মানিকখালী তিন নদীর মোহনায় সোজাসুজিভাবে নদী খনন করলে স্থানীয় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ গ্রাম সুরক্ষা থাকবে বলে আমরা মনে করি। জেলা প্রশাসক স্থানীয়দের আকুতি মনোযোগ সহকারে শোনেন ও নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি ঘুরে ঘুরে দেখেন। তিনি দ্রুত পাউবো কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনান্তে স্থানীয়দের দাবি পূরণ করার আশ্বাস প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায়, আশাশুনি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) বিমলেন্দো কুমার বিশ্বাস, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এস, এম আহসান হাবিব, সহ-সভাপতি আলী নেওয়াজ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আবদুল খালেক, হাইস্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হক, বিশিষ্ট সমাজসেবক মহিউদ্দিন সরদার সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় ভুক্তভোগী ভাঙ্গন কুলের শত শত নারী পুরুষ।