ফজলুল হক, কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে জবর দখল চেষ্টা ও ফসল বিনষ্টের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর ও রঘুনাথপুর মৌজায়। এ ঘটনায় রঘুনাথপুর গ্রামের মো: জহুরুল ইসলামের স্ত্রী ভুক্তভোগী তানজিলা খাতুন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সাতক্ষীরায় ১৪৫ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন ও অনধিকার প্রবেশের মাধ্যমে তার দখলি সম্পর্তিতে কোন প্রকার ক্ষতিসাধন বা বে-দখলের চেষ্টা চালাতে না পারে সে বিষয়ে আদালতে আরজি জানিয়েছেন।
বুধবার ১৫ জানুয়ারী ভুক্তভোগী তানজিলা খাতুনের আদালতে দেওয়া অভিযোগ সুত্রে জানা যায় তার পৈত্রিক ও মাতার ওয়ারেশ সুত্রে প্রাপ্ত রঘুনাথপুর মৌজার ১৩৯৮ খতিয়নের ১৬৭৯ দাগে ১.৩৭ শতাংশ ও কালিকাপুর (বড়) মৌজার ১৪৭৭ খতিয়ানের ৪২৬৯ দাগে ৩০ শতাংশ জমি দীর্ঘকাল যাবৎ ভোগদখল করে আসছিল কিন্তু বিগত ১৩ জানুয়ারী কালিকাপুর গ্রামের সামাদ সরদারের পুত্র সহিদ সরদার (২৬), বাকি ফকীরের পুত্র শাহীন ফকির (৩৫), রুহুল কুদ্দুসের পুত্র মাছুম বিল্লাহ (৪৬) ও অলিউল্লাহ (৪২), আবুল বিশ্বাসের পুত্র জহুর আলী (৬০), জহর আলীর পুত্র আহাদ আলী বিশ্বাস (৪৫), অলিউল্লাহর পুত্র আজহারুল (২৪) উক্ত সম্পত্তিতে দা, লাঠি ও অস্ত্রসহ প্রবেশ করে সেখানে মৎস ঘেরের ক্ষতিসাধন ও সরিষা ক্ষেতে পানি উঠাইয়া বিনষ্ট করা সহ মৎস আহরন করে, ভুক্তভোগী তানজিলা ঘটনা স্থলে হাজির হয়ে তাদের প্রতিবাদ করতে গেলে অভিযুক্তরা তাকে খুন, গুম, সম্পত্তি দখল সহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি ও আস্ফালন করতে করতে আহরন কৃত মাছ সহ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ভুক্তভোগীর স্বামী জহরুল ইসলাম জানান, তাদের জমিতে চাষাবাদ কৃত ফসল ও মাছসহ প্রায় অর্ধলক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে অভিযুক্তরা। এ বিষয়ে তানজিলার আপন ভাই অভিযুক্ত শেখ অলিউল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার বোনের অভিযোগ সঠিক নয়। তারা তাদের প্রাপ্য অংশ ভোগ দখল করতেছে এবং বিভিন্ন দাগ খতিয়ানের জমি দুই জায়গা থেকে ভোগ দখল করতে চাইলে তার অন্য বোনদের সাথে তানজিলার দখল নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মধ্যস্ততার চেষ্টা করলেও তাদের বিচার তানজিলার মনোপুত না হওয়ায় এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।