বিশেষ প্রতিনিধি : সদর উপজেলার বালিথা পূর্বপাড়ায় শিশুর যৌন হয়রানীর ঘটনায় ৭২ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও আসামীরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে অপরদিকে ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরে বিচারিক হাকিম রাফিয়া সুলতানার কাছে ২২ ধারায় ভিকটিমের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বালিথা পূর্বপাড়ার আনারউদ্দিন সরদারের ছেলে ও জি ফুলবাড়িয়া মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্র আব্দুল্লাহ তার প্রতিবেশী ভাতিজা স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক ছাত্রীকে বিস্কুট দেওয়ার কথা বলে রবিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়।
পরে তার মুখের মধ্যে কাপড় গুজে হাত ও পা বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।এসময় ভিকটিমকে বাড়িতে না পেয়ে তার মা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ওই মেয়েকে আব্দুল্লাহর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন মেয়েটির মা বাদি হয়ে আব্দুল্লাহ’র নাম উল্লেখ করে সোমবার থানায় ২০০০ সালের সংশোধিত ২০০৩ এর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে বিচারিক হাকিম রাফিয়া সুলতানার কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
এ ব্যাপারে আব্দুল্লাহর বাবা আনারউদ্দিন সরদার ইতোপূর্বে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিনিধির নিকট বক্তব্য প্রদান করলেও পরবর্তীতে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে বিভিন্ন ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে নানান ষড়যন্ত্র ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান করায় এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর দীর্ঘ ৭২ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় সচেতন এলাকাবাসী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামী আব্দুল্লাহ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।তাকে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে এবং গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যহত থাকবে।