বুধহাটা প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র বুধহাটা বাজারের অভ্যান্তরিন সড়ক উন্নয়নে নির্মাণ কাজ শেষ না করে বন্ধ করে রাখায় জন ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। সড়কের ব্যবসায়ীদের কেনা বেচায় ভাটা পড়েছে এবং ক্রেতা সাধারণ মালামাল ক্রয় করতে গিয়ে কষ্টকর পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে। বাজারের অভ্যান্তরিন সড়ক উন্নয়ন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও চাদনী সেট নির্মান কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। কাজ দু’টি প্রজেক্টের আওতায় চলছে। ড্রেনের কাজে বরাদ্দ ৩৬ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা।
সড়ক ও চাদনি সেটের কাজের বরাদ্দ (গোয়ালডাঙ্গা ও বড়দলের কাজসহ) ১ কোটি ৯৩ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে কাজের কিছু অংশ শেষের দিকে। গাজী মার্কেটের সামনে থেকে কাঁচা বাজার পর্যন্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কাঁচা বাজার থেকে নিমতলা এবং চাউল পট্টি ও স্বর্ণকার পট্টি হয়ে মাছ বাজার গামী রাস্তার কাজ ও ড্রেন নির্মান কাজে হাত দিয়ে এমন ভাবে রেখে দেওয়া হয়েছে যে, সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এক পাশের দোকান বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। সড়কগুলোতে ২ শতাধিক দোকান রয়েছে। সড়কের ইট উঠিয়ে খোড়াখুড়ি ও ড্রেনের কাজ করতে করতে রেখে দেওয়ায় সড়কগুলো বেহাল হয়ে পড়েছে। কোন যাহন ঢুকতে পারছে না। চাউলের বস্তা, কুড়োর বস্তা, আটার বস্তাসহ ভারি মালামাল দোকান থেকে ক্রেতারা কিনে নিয়ে যেতে পারছেনা। ফলে ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। চাউল পট্টি বাজারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা ক্ষেত্র।
এখানে মালামাল পরিবহনে ঝামেলা ও কেনা বেচায় অসুবিধার কারনে বাজারেরর অবস্থা খারাপ হয়ে পড়েছে। চাউল পট্টির চাল ব্যবসায়ী গৌর দেবনাথ, সুমঙ্গল দেবনাথ, দিলীপ দেবনাথ, পুবা দেবনাথ, দীপন সেন বলেন, সংস্কার কাজ শুরু হওয়া থেকে আমরা বিপাকে পড়েছি। মালামাল দোকানের সামনে এনে আনলোড করতে পারছিনা। ক্রেতারা মালামাল পরিবহন করতে না পারায় আমাদের থেকে মালামাল কিনতে চাচ্ছেনা। ফলে আমাদের বেচাকেনা কমে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে একটা ভ্যান ঢুকলে সড়ক দুরাবস্থার কারনে দীর্ঘক্ষন যানজটের সৃষ্টি হয়। আমদের ভোগান্তি বেড়ে গেছে। সবমিলে চাউল পট্টি, স্বর্ণকার পট্টি ও ঐ সড়কগুলোর ব্যবসায়ীরা খুবই সমস্যায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী অনিন্দ্ব্য দেব সরকার এ প্রতিবেদককে বলেন, কাজ ভাল ভাবেই চলছিল। কিছু সমস্যার জন্য কয়েকদিন কাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারদের সাথে কথা হয়েছে দ্রুতই কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।