হেলালউদ্দিন, রাজগঞ্জ : যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে অন্যান্য রোগের তুলনায় চর্মরোগ বাড়ছে আশঙ্কাজনক ভাবে। দিনদিনই বাড়ছে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সাধারণ মানুষ বলছে-করোনাটিকা দেওয়ার কারণে এ চর্মরোগ দেখাদিচ্ছে। যেন ‘ঘরেঘরে’ ছড়িয়ে পড়ছে চিকিৎসায় ব্যয়বহুল এ চর্মরোগ।
জানা গেছে- করোনার সময় যারা টিকা নিয়েছিলেন, তাদেও মধ্যে অধিকাংশই আক্রান্ত হচ্ছে এ ধরনের রোগে। আরও জানাগেছে- পুরুষের থেকে নারীরা আক্রান্ত বেশি হচ্ছে। তবে, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা দূষিত পানি, পরিবেশ দূষণ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, খাদ্যাভ্যাস ও ত্বকের যত্নের অভাবকেই দায়ী করছেন।
এ থেকে উদ্ধাওে পারিবারিক সচেতনতাই প্রথম প্রতিরোধ বলে মনে করছেন তারা। চর্মরোগে আক্রান্ত রাজগঞ্জের হানুয়ার বাজারপাড়ার বাসিন্দা মোছাঃ লাকি খাতুন সহ অনেকেই জানিয়েছেন- সারা শরীওে ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন ্নধরণের চর্মরোগ। এরমধ্যে পুরো শরীওে ঘামাচির মতো ছোট ছোট ফুসকুড়ি, সঙ্গে তীব্র চুলকানি, খোস পাঁচড়া। আক্রান্ত রোগীরা আরও বলেন, এই চর্মরোগের চিকিৎসাই হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে। ওষুধের অনেক দাম। তারপর দীর্ঘদিন চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। তাতেও ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয় চিকিৎসকরা বিশেষজ্ঞদেও বরাত দিয়ে জানান, দিনদিনই আমাদেও পরিবেশ নানা কারণে দূষিত হচ্ছে। এই দূষণের ফলে পরিবেশ তার ভারসাম্য ধওে রাখতে পারছেনা। যার ফলে নানা রোগব্যাধীর পাশাপাশি মানুষের শরীরে দেখা দিতে পারে চর্মরোগ। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদেও মতে, চর্মরোগে আক্রান্ত রোগীদেও চিকিৎসা দীর্ঘদিন চালিয়ে যেতে হয়। এটা একটি ছত্রাক জনিত ও জটিল রোগ। কেউ কেউ রোগটি পুরোপুরি নির্মূল হওয়ার আগেই অবহেলা করে ওষুধ বন্ধ করে দেয়, যার ফলে শরীওে জীবাণু আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। যে কারণে রোগটি জটিল পর্যায়ে পৌঁছেযায়। রাজগঞ্জ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। যে কারণে সেখান থেকে চর্মরোগের কোনো চিকিৎসা মিলছেনা। সাধারণ রোগীরা রাজগঞ্জ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চর্মরোগ সহ বিশেষজ্ঞ একজন চকিৎসক নিয়োগের দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।