খান আতাউর রহমান লিটন, পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : কালের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের জীবন যাত্রার মানও উন্নত হচ্ছে তেমনি রুচিরও ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে। এক সময় মানুষ মাটির তৈরীর সমস্ত জিনিসপত্র ব্যবহার করত। রান্নাবান্না থেকে শুরু করে সংসারের দৈনন্দিন ব্যবহৃত বেশির ভাগই ছিল মাটির তৈরির জিনিস।
সেটা আস্তে আস্তে ব্যবহার নেই বললেও চলে। তো কিছু কিছু কাজে মাটির তৈরি জিনিস এখনো ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফুলের টব।মানুষের রুচির পরিবর্তন হইছে মনে করে এখন সেই মৃত শিল্পগুলো বালু সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করছে। এই শিল্প কারিগরের মধ্যে একজন হলেন মোহাম্মদ রুহুল আমিন বিশ্বাস।তার বাড়ি কলারোয়া উপজেলার পরানপুর গ্রামে। তিনি জালালাবাদ মহিলা মাদ্রাসার একজন শিক্ষক। করনার সময় মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় মেসার্স বিশ্বাস সেনেটারী নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন।
প্রথমে সেখানে রিং, সিলাপ, জমানো পিলার তৈরি করত। মাঝেমধ্যে শখের বসে কিছু ফুলের টপ তৈরি করে বিভিন্ন ডিজাইন করতো। এই টপগুলো দেখতে মানুষ ভিড় জমাতো। মোহাম্মদ রুহুল আমিনের আগ্রহ আরো বাড়তে থাকে। কাজটা আস্তে আস্তে নেশাই পরিণত করে ভিয়েতনাম, চায়না সমমানের বনসাই ফুলের টপ, ঝরনা, সো পিলার, বেলকুনির পিলার সহ বিভিন্ন রকম দৃষ্টি নন্দন কারুকলাম তৈরি করে। তার কর্মচারী বদরুল জামান বলেন আমি তিন বছর যাবত এখানে কাজ করছি এখানে অনেক দূরের মানুষ আসে এগুলো দেখে অনেকে আনন্দ পাই। কেউ কেউ তাদের শখের জিনিস কিনে নিয়ে যায় আবার কেউ পছন্দ করে অর্ডার দিয়ে যায়।
রুহুল আমিন বলেন বিভিন্ন জেলা থেকে অর্ডার আসে বর্তমানে বরিশাল লেবুখালী ক্যান্টনমেন্টে একটি অর্ডার আছে আরেকটি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে। তো আর্থিক সংকটের কারণে পর্যাপ্ত কাঁচামাল ক্রয় করতে না পারাই একবারে ডেলিভারি করতে অনেক দেরি হয়ে যায়। এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহুরুল ইসলামের কাছে চাইলে তিনি বলেন কার্যক্রম আমি দেখেছি অনেক ভাল।সরকারি কোন বরাদ্দ আসলে আমি অবশ্যই এটার দিখে নজর দিব।