অহিদুজ্জামান খান : ০৬ ফেব্রুযারি ২৫ (বৃহস্পতিবার) সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র অধিনস্থ পদ্মশাখরা, ভোমরা, বৈকারী, তলুইগাছা, কাকডাঙ্গা এবং হিজলদী বিওপির সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্যসহ প্রায় আট লক্ষ টাকার ভারতীয় মালামাল আটক করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভোমরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ২/৪ এস এবং ৩/৪ এস হতে আনুমানিক ২০০-৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন ঘোষপাড়া এবং লক্ষীদাড়ি নামক স্থান হতে ৩৫ বোতল ভারতীয় নেশা জাতীয় সিরাপ এবং ১৮ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পদ্মশাখরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ২/১ এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন দাসপাড়া নামক স্থান হতে ৭০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। ভোমরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল মেইন পিলার ৩ হতে আনুমানিক ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফলমোড় নামক স্থান হতে ২৫,৩৬০ টাকা মূল্যের ভারতীয় কম্বল এবং কসমেটিক্স আটক করে।
বাকাল চেকপোস্ট এর আভিযানিক দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বাকাল পেট্রলপাম্প নামক স্থান হতে ১৭,৫০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে।
তলুইগাছা বিওপির পৃথক দুইটি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩ এস এবং ১৩/৩ এস এর ১ আরবি হতে আনুমানিক ২০০-৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দক্ষিণ কেড়াগাছি এবং চারাবাড়ি নামক স্থান হতে ৬০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি আটক করে।
কাকডাঙ্গা বিওপির পৃথক তিনটি বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩ এস এর ৫ আরবি ও ৭ আরবি হতে আনুমানিক ৩০০-৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গেড়াখালী এবং ভাদিয়ালী নামক স্থান হতে ৩,৭৩,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ, শাড়ি এবং থ্রি পিস আটক করে।
হিজলদী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৫/৩ এস আনুমানিক ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন সুলতানপুর নামক স্থান হতে ৭০,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। এছাড়াও, ব্যাটালিয়ন সদরের বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩ এস এর ১২ আরবি হতে আনুমানিক ০৩ কিঃমিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন সোনাবাড়িয়া নামক স্থান হতে ১,২৪,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে। সর্বমোট ৭,৫২,৯২২/- (সাত লক্ষ বায়ান্ন হাজার নয়শত বাইশ) টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালানী মালামাল আটক করে।
চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়। এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে। বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এছাড়াও মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করতঃ পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে। দেশের রাজস্ব ফাঁকি রোধ করে স্থানীয় শিল্প বিকাশে এবং দেশের তরুন/যুব সম্প্রদায়কে মাদকের নির্মম ছোবল হতে রক্ষা করার মহতী উদ্যেগে বিজিবি’র এরূপ দেশপ্রেমিক ও জনস্বার্থে পরিচালিত অভিযানে উপস্থিত স্থানীয় জনগন সাধুবাদ জ্ঞাপন করে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেন।