আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি উপজেলার সাবেক বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুলফিকার আলী জুলির নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু হিংসাত্মক লুটপাট কারী দখলবাজ, চাঁদাবাজরা বিভিন্ন ভাবে তার ছবি কেটে এডিট করে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে তার নিজস্ব কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমার বড় ভাই মৃত আব্দুল আলীম এর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বি,এন,পি কে প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন।
তিনি আশাশুনি উপজেলার নির্বাচিত আহবায়ক ছিলেন। তিনি আরও বলেন আমার মেজ ভাই আব্দুস সালাম বাচ্চু বি,এন,পি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে আশাশুনি উপজেলায় হাতে গুনা ১০/১৫ জনের একজন ছিলেন। আমি ছাত্র জীবনে বাগেরহাট পিসি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য ছিলাম। স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করেছি।
১৯৯১ সালে বাড়ী এসে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করি। এরপর উপজেলা মৎস্য জীবি দলের সভাপতি হই। ২০০৯ সালে আশাশুনি উপজেলায় বি,এন,পি যুগ্ম আহবায়ক, এর পর আমাকে আমার ইউনিয়নের বি,এন,পির আহবায়ক এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমি আমার ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড সম্মেলন করে ইউনিয়নের সম্মেলন করেছি। যাহা ১১টি ইউনিয়নের ভিতরে সুপার ইউনিটে ভুসিত হয়। আমি উপজেলা বি,এন,পির সেক্রেটারী প্রার্থী ছিলাম কিন্তু আহবায়ক এস,এম রফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যানের অনুরোধে দলের স্বার্থে নিজের পরিশ্রমকে বিসর্জন দেই। পরবর্তীতে সর্ব সম্মতি ক্রমে আমাকে উপজেলা বি,এন,পির সিনিয়র যুগ্মা সাধরণ সম্পাদক এর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার আমার নামে একের পর এক নাশকতা মামলা দেয়। সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে সর্বপ্রথম স্বেচ্ছা সেবক দলের মিছিল থেকে গ্রেফতার হই। পুলিশের নির্যাতনে এখনও আমার মাঝা ভাঙ্গা। আমার আব্বা মরহুম হাজী মোজাহার উদ্দীন সরদার শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে হাত রেখে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আস্থাভাজন হিসাবে বি,এন,পি করতেন। যার কারনে আমার পিতার নামে মিথ্যা যুদ্ধ অপরাধীর এক সাজানো অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ আমাকে বহু বার গ্রেফতার করে।
২০১৮ সালে ডাঃ শহিদুল আলম এর সংসদ নির্বাচনীয় কার্যালয় নলতা থেকে আমরা ৫৪ জন গ্রেফতার হই। বারবার গ্রেফতার পুলিশের নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরেও কিছু হিংসাত্মক লোক আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে আসছে,যাহা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা।এটা দলের ত্যাগি নেতাদের জন্য আফসোস এবং খুবই কষ্টদায়ক। তারা ৫ই আগষ্ট হাসিনা সরকার পতনের পর দলে অনুপ্রবেশ করার ষড়যন্ত্র করে এবং নিজেরা অপকর্ম লুটপাট, চাঁদাবাজী, দখলবাজী করে বি,এন,পি দল গঠনের মানষিকতা থাকা ও ত্যাগি নেতাদের সরাতে চাই। তিনি এ ধরনের অপকর্মকারী ও অপপ্রচারকারী সুবিধাবাদী সন্ত্রাসিদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্দ্ধতন নেত্রীবৃন্দের হস্থক্ষেপ কামনা করেন।