নাজমুল হুদা, ঝাউডাঙ্গা প্রতিনিধি : ঘরে পড়ে থাকা কাপড় ব্যবসায়ী স্বামীর নিথর মরদেহের পেটের ওপর লেখা ‘‘সরি জান আই লাভ ইউ’’ আরেকদিকে অন্য ঘরে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ। সম্পর্কে তারা স্বামী ও স্ত্রী। নিহতরা হলেন কলারোয়া উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মাজেদ মোল্লার ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪৫) ও কালামের দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমিন আক্তার (৩০) এর লাশ ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়া গ্রামের পালপাড়ার জনৈক মোহন পালের বাড়ি থেকে পুলিশ লাশ দুইটি উদ্ধার করেছে। সেখানেই ভাড়া থাকতেন এই দম্পতি।
ঘটনাস্থলে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি (অপারেশন) সুশান্ত ঘোষ সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হতে পারে স্বামীকে মেরে স্ত্রী রশিতে ঝুলে মৃত্যুবরণ করেছে। কিন্তু অধিকতর তদন্ত ছাড়া কোন কিছু বলা সম্ভব না। আমরা প্রায় সকল আলামত সংগ্রহ করেছি। তদন্ত দিক উন্মোচিত হলে আমরা আপনাদেরকে জানাবো।
স্থানীয় প্রতিবেশী আবুল জানান, তিনি ঘটনা স্থালে গিয়ে দেখেন, সেখানে কয়েকটি চিরকুট লেখা আছে। ‘আমি সবকিছু শেষ করে দিলাম। আমি ২.৩১ মিনিটে মারছি, এবার আমিও মরছি। একা হলেও বাঁচবো না, কারণ শারমিন ও তার পরিবার আমাকে শেষ করে দেবে। তাই আমরা দুইজন মরে গেলাম। এবার তোমরা সংসার করো, ভালো করে। আর কেউ বিরক্ত করবে না। আমার ছেলে কষ্ট পাবে, তারপরও কালামের জন্য আমি সবাইকে কষ্ট দিলাম। তবুও সে আমাকে কষ্ট দিল, শয়তান একটা।’
কালামের ভাই গোলাম মোস্তফা জানান, তার ভাই কালামের দুইটি স্ত্রী ছিল। বড় স্ত্রী কলারোয়াতে থাকে। সেখানে ২টি সন্তান রয়েছে। ছোট স্ত্রী নাজমিনের সাথে বিয়ের পর সংসার চলতে চলতে ছাড়াছাড়ি হয় এরমধ্যে নাজমিনের আরেক জায়গায় বিয়ে হয়। সেখানে নাজমিনের পুত্র সন্তানও আছে। সম্প্রতি কালাম নাজমিনের ফের যোগাযোগ হয় এবং তারা পালপাড়ার বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো। এরমধ্যেই তাদের লাশ উদ্ধার হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু তা নানা জন নানা কথা বলছে, সঠিক না জেনে বলা খুবই মুশকিল।
ওসি (তদন্ত) সুশান্ত বলেন, এঘটনায় কেউ আটক বা গ্রেপ্তার হয়নি। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য থানা থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।