শাহাজান আলী মিটন : সাতক্ষীরায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সদস্য জাকির হোসেন মন্টুর বিরুদ্ধে সদর উপজেলার ভোমরা স্থলবন্দর এলাকায় নালিশী জমিতে রাতের আঁধারে পাকা ভবন নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
নালিশী জমি নিয়ে আদালতে বিচারাধীন মামলার বিবরণে জানা গেছে, সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া গ্রামের আবুল হোসেন মোঃ মোখসুদুর রহমান ক্রয়সূত্রে ভোমরা স্থলবন্দর এলাকায় ৬ শতক জমির মালিক। তাদের মালিকানাধীন ওই ৬ শতাংশ ভূমিতে ভোমরা গ্রামের মৃত সরফরাজ মোল্লার ছেলে সিএন্ড এফ নেতা জাকির হোসেন মন্টু অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তারা ওই জমিতে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
নিজেদের জমিতে ঘর নির্মাণের খবর পেয়ে আবুল হোসেন মোঃ মোখসুদুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে আপত্তি জানান। তবে প্রভাবশালী জাকির হোসেন মন্টুর লোকজন তার কথা না শুনলে আবুল হোসেন মোঃ মোখসুদুর রহমান বাদী হয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন। পিটিশন মামলা নং-২৫৯/২৫ (সাত:)। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ৪১৫ নং স্মারকে, “অন্য কোন আদালতের ভিন্ন কোন আদেশ না থাকলে নালিশী সম্পত্তিতে দ্বিতীয় পক্ষ পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত বারিতে থাকবে।
কোন স্থাপনা অবকাঠামো নির্মাণ করতে পারবে না” মর্মে সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু জাকির হোসেন মন্টু গংরা আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে নালিশী ভূমিতে পাকা ঘরসহ স্থাপনা নির্মাণ কার্যক্রম অব্যহত রেখেছেন।
এ বিষয়ে জমির মালিক আবুল হোসেন মো. মোখলেছুর রহমান জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালেও বিবাদী জাকির হোসেন মন্টু গংরা নালিশী ভূমিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছেন। তারা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ঢালাই কাজের জন্য সেন্টারিংয়ের কাজ করছেন। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তিনি নিজের ক্রয়কৃত জমিতে অন্যের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে জানার জন্য জাকির হোসেন মন্টুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিক বার রিং করলেও তিনি রিসিভ না করায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামিনুল হক বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী স্থিতি জারি থাকা অবস্থায় যদি কোন ধরনের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয় তাহলে পুলিশ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।