বৃহস্পতিবার , ৬ মার্চ ২০২৫ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে কলেজ শিক্ষকদের সাথে নাটাবের মতবিনিময়

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
মার্চ ৬, ২০২৫ ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ

শহর প্রতিনিধি : যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধ ও রোগী সনাক্তকরণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে কলেজ শিক্ষকদের ভুমিকা শীর্ষ জেলা মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুর দুইটায় শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে নাটাব সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। নাটাব সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি এম ঈদুজ্জামান ইদ্রিস’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. ডাক্তার মোঃ আঃ সালাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের এম ও সিএস ডাক্তার জয়ন্ত সরকার, আশাশুনি সরকারি কলেজের (অব:) অধ্যক্ষ মোঃ হোসেন আলী, সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন নাটাব সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল ইসলাম। এ সময় যক্ষা বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করেন নাটাবের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। সাতক্ষীরা জেলার ৩০জন কলেজ শিক্ষকদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, ফুসফুসে যক্ষ্মার প্রধান লক্ষণ হলো এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহ বা তার অধিক সময় ধরে কাশি। নিয়মিত ও পূর্ণ মেয়াদের চিকিৎসায় যক্ষ্মা সম্পূর্ণ ভালো হয়।

এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ঔষধ সেবন করতে হবে। অনিয়মিত ঔষধ সেবনের ফলে যক্ষ্মা রোগ স্থায়ী হতে পারে। এজন্য যক্ষ্মা হলে কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। বক্তারা আরো বলেন, এক নাগাড়ে দুই সপ্তাহ বা তার অধিক সময়ে কাশি থাকলে, ক্ষুধা মন্দা, শরীরের ওজন কমে যাওয়া, রাতে জ্বর আসা, বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট এমন লক্ষণ দেখা দিলে ফুসফুসে যক্ষ্মা হওয়ার লক্ষণ। যক্ষ্মারোগ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যক্ষ্মা একটি জীবানু ঘটিত সংক্রামক রোগ। একনগাড়ে দুইসপ্তাহ বা তার অধিক সময়ে কাশি থাকলে কফ পরীক্ষায় রোগ সনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত সঠিক মাত্রায় ও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঔষধ সেবনের মাধ্যমে যক্ষ্মা সম্পূর্ণ ভালো হয়। হাঁচি, কাশি দেওয়ার সময়ে রুমাল ব্যবহার করতে হবে।

বাংলাদেশের সকল জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বক্ষব্যাধি ক্লিনিক, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিক সমূহে বিনামূল্যে কফ পরীক্ষা ও যক্ষ্মা চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশ সরকার যক্ষ্মারোগীর জন্য সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চিকিৎসার সমস্ত ঔষধ বিনামূল্যে বহন করে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সচেতনতার অভাবে যক্ষ্মা রোগী দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য ৫ বছরের সকল শিশু এবং ৬০ বছরের উপরে সকলকে যক্ষ্মা প্রতিরোধি চিকিৎসা (টিপিটি) গ্রহণ করতে হবে।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত