বৃহস্পতিবার , ৬ মার্চ ২০২৫ | ৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

মিশ্র ফলের চাষ করে সফলতা পেয়েছেন মণিরামপুরের হাফেজ বেলাল

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
মার্চ ৬, ২০২৫ ১২:২১ পূর্বাহ্ণ

মণিরামপুর প্রতিনিধি : নানা জাতের দেশী-বিদেশী ফলের চাষ করে সফলতা পেয়েছেন যশোরের মণিরামপুর উপজেলার মাছনা খানপুর গ্রামের হাফেজ বেলাল হুসাইন। তার সফলতার গল্পটি বেশ চমকপ্রদ। প্রান্তিক চাষী নজরুল ইসলাম ও গৃহিনী মাতা আলেয়া বেগম চার ছেলে মেয়ের মধ্যে বেলাল সবার বড়। অদম্য মেধাবী বেলাল হুসাইন একাধারে কোরআনের হাফেজ। পাশাপাশি জেনারেল ও মাদরাসা উভয় লাইনে পড়ালেখা করে অনার্স ডিগ্রি ও কামিল পাশ করেছেন।

উচ্চ শিক্ষিত বেলালের ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন নিজে স্বনির্ভর হবেন এবং কর্মজীবি মানুষের জন্য কিছু করবেন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার ইচ্ছা শক্তি ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে বিগত পাঁচ বছর আগে দুই বিঘা জমি লীজ নিয়ে মাল্টা লেবুর চাষ শুরু করেন। মাল্টা বাগানে মিশ্র চাষ হিসেবে কুল ও পেয়ারার চাষ করেন। প্রথম আবাদেই খরচ-খরচা বাদে লাভের মুখ দেখেন বেলাল। এতে তার উৎসাহ দ্বিগুন বেড়ে যায়। এরপর ৫বিঘা জমি লীজ নিয়ে শুরু করেন ড্রাগন ফলের চাষ। তাতেও বেশ লাভবান হন তিনি।

সেই থেকে একের একর পর এক নতুন নতুন ফলের আবাদ শুরু করেন বেলাল। গড়ে তোলেন “শুকরিয়া এগ্রো ফার্ম”। এবার তিনি ঝুঁকে পড়েন বিভিন্ন বিদেশি ফলের দিকে। আঙ্গুর, স্ট্রবেরি, আনার, ত্বীনফল, মালবেরি, লংগান, বারমাসি আম, বারমাসি মাল্টা, বারমাসি লেবু, বিভিন্ন জাতের রঙিন আম, সাইট্রাসের ন্যায় বিভিন্ন জাতের আবাদ নিয়ে কাজ করেন তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের চারা উৎপন্ন করে তা বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন তিনি। মিশ্র ফলের পাশাপাশি শসা, টমেটো, বিভিন্ন জাতের কপি, বেগুন, মরিচ ইত্যাদির চাষ করে থাকেন। গত বছর ২০ শতক জমিতে রাবি-৩ ও আমেরিকান ফেস্টিভ্যাল স্ট্রবেরি চাষ করেন। এছাড়া অন্ততঃ ২০ জাতের আঙ্গুর চাষ করেছেন।

আঙুরের প্রতিটি জাতে ফুল-ফল আসতে শুরু করেছে। বর্তমানে তার শুকরিয়া এগ্রো ফার্মে প্রতিদিন ১০/১৫ জন শ্রমজীবি মানুষ কাজের সুযোগ পাচ্ছে। মিশ্র ফল চাষী হাফেজ বেলাল বলেন, আমি যখন যে ফলের চাষ করেছি তাতেই সফলতা পেয়েছি। মাল্টার সাথে কুল ও পেয়ারাতে লাভবান হয়ে ড্রাগনের আবাদ করি তাতেও লাভবান হয়েছি। স্ট্রবেরি চাষেও লাভবান হবো বলে আশা করছি। এবার অন্ততঃ ২০জাতের আঙুর চাষ করেছি, ফুল-ফল আসতে শুরু করেছে।

আঙুর চাষে ও সফলতা আসবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস। স্থানীয় মাছনা গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক সায়ফুল আলম বলেন, প্রবল ইচ্ছা শক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সবকিছু অর্জন করা যায়, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলো হাফেজ বেলাল। তিনি বেকার যুবকদের জন্য একজন অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ মাহমুদা আক্তার বলেন, এখানকার মাটি,জলবায়ু,পরিবেশ ফল চাষের জন্য উপযোগী। এখানে বানিজ্যিক ভিত্তিতে ‘মালটা, ড্রাগন, কুল, পেয়ারা, আমসহ বিভিন্ন ফলের চাষ হচ্ছে। হাফেজ বেলাল একজন উচ্চ শিক্ষিত মানুষ। তিনি নতুন নতুন ও মিশ্র ফল চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। তার স্ট্রবেরি দেখতে চমৎকার ও বেশ সুস্বাদু । তিনি বিভিন্ন জাতের আঙ্গুর ও অন্যান্য বিভিন্ন ফলের আবাদ করেছেন।কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত

সাতক্ষীরা-২ আসনে আ.লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি

রূপালী ব্যাংক লিঃ রেমিট্যান্স গ্রহণকারী গ্রাহক পেলেন স্মার্টফোন

পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে মতবিনিময় সভা

তালা ও কলারোয়ার বিভিন্ন এলাকায় এ্যাড. মোহাম্মদ হোসেনের গণসংযোগ

আলিপুর ইউনিয়ন গ্রাম ডাক্তারদের নিয়ে সায়েন্টিফিক সেমিনার

ভালুকা চাঁদপুরে পোল্ট্রি পালন খামারিদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

পৌষের শীতে শীতার্ত মানুষের মাঝে জেলা লেডিস ক্লাবের শীতবস্ত্র বিতরণ

পাইকগাছায় হতদরিদ্রের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ

সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল রেফারীজ এসোসিয়েশনে দুই সংসদ সদস্যকে সংবর্ধনা