কালিগঞ্জ (সদর) প্রতিনিধি : কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নে অবস্থিত শিমু-রেজা এমপি কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি বহিরাগত হওয়ার আশংকার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় কলেজের গেটে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে মৌতলা ইউনিয়নের শতাধিক স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ ও শিমু রেজা এমপি কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেণ।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে এ সময় বক্তব্য রাখেন আনিছুর রহমান হাবিবুল্লাহ, আব্দুস সাত্তার, মাষ্টার আনোয়ারুল ইসলাম, সৈয়দ হাসানত আলী, আবু রায়হান, তৈহিনুর রহমান ও শাহাদৎ আযম প্রমুখ। পরে মৌতলা এলাকা থেকে এডহক কমিটি গঠনের দাবীতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন শিমু-রেজা এম.পি কলেজের এডহক কমিটিতে সভাপতি পদে অপরিচিত ও বহিরাগত মোছা: ডালিয়া আফরোজ এর মনোনয়ন বাতিল ও অত্র কলেজ প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারীদের মধ্য থেকে সভাপতি মনোনয়ন প্রাদানের দাবীতে স্মারকলিপি পেশ। বক্তারা আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বৈষম্যের যাতাকলে পিষ্ট উন্নয়ন বঞ্চিত মৌতলা ইউনিয়নের একমাত্র উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিমু-রেজা এম,পি কলেজের গভর্নিং বডি নির্বাচনে বিনাভোটে নির্বাচিত সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সংসদ এস এম জগলুল হায়দার ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর পরস্পর আধিপত্য বিস্তারের মানসে দ্বিমুখী চাপ ও নির্দেশনার কারনে অত্র এলাকার সর্বসাধারণের পছন্দ মত যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন ও মনোনয়ন সম্ভব হয়নি বরনিদ্রমপি- উপজেলা চেয়ারম্যান ও অত্র কলেজে প্রতিষ্ঠাতা সাবেক এমপি এইচ, এম গোলাম রেজার মধ্যে ত্রিমুখী দ্বন্দের কারনে বিগত প্রায় একযুগ সময়কালে এইচ,এস,সি পরীক্ষার ফলাফলে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ও যশোর বোর্ড এর মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থানসহ ধারাবাহিক ভাল ফলাফল অর্জনকারী এই উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নুন্যতম অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
আমরা আশা করেছিলাম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গন অভ্যুত্থানের পর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় অত্র প্রতিষ্ঠানে সরকারি বিধিমোতাবেক স্থানীয় সর্বজন সমার্থিত ও অত্র কলেজের প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী কাউকে সভাপতি পদে মনোনয়ন দেয়া হবে। কিন্তু কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে কলেজ কর্তৃপক্ষ একজন সম্পূর্ন অপরিচিত ব্যাক্তিকে তালিকার শীর্ষে রেখে অত্র কলেজের প্রতিষ্ঠাকালিন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালনকারী, তৎপরবর্তীকালে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ অন্যান্য বিষয়ে কলেজের আপদকালীন কান্ডারী হিসেবে পরিচিত মো: আনোয়ারুল ইসলাম ওএস এম হাফিজুর রহমান কে যথাক্রমে ২য় ও তৃতীয় স্থানে রেখে তালিকা প্রেরণ করেছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।
কলেজ কর্তৃপক্ষের এহেন অদূরদর্শী সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সর্বসাধারণ যারপরনাই ব্যাথিত, মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। এজন্য ছাত্র ও অভিভাবক সহ স্থানীয়রা ০৬ ফেব্রুয়ারি সর্বস্তরের জনসাধারণের পক্ষে অত্র মনোনয়ন বাতিল ও দ্রুত সর্বজন গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সভাপতি মনোনয়ন দেওয়ার দাবীতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।