আহিদুজ্জামান খান : শনিবার (০৮ মার্চ) সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি’র অধিনস্থ ভোমরা, কালিয়ানী, কাকডাঙ্গা, মাদরা ও সুলতানপুর বিওপি সীমান্ত এলাকায় বিশেষ চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মালামাল আটক করে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভোমরা বিওপির পৃথক দুইটি বিশেষ আভিযানিক দল মেইন পিলার ৩ হতে ৩/৪-এস হতে আনুমানিক ৩০০-৩৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন ফলমোড় ও লক্ষীদাড়ি নামক স্থান হতে ৮৯,২০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ০১ টি মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন প্রকারের প্রসাধনী সামগ্রী আটক করে। কালিয়ানী বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল মেইন পিলার ৮/১৫ এস এর আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন কালিয়ানী মাঠ নামক স্থান হতে ৮৫,০০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
কাকডাঙ্গা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩-এস এর ৭ আরবি হতে ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন দায়িত্বাধীন ভাদিয়াল দখলের মোড় নামক স্থান হত ৬০,০০০ ভারতীয় শাড়ি ও বোরকা আটক করে। মাদরা বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল সীমান্ত পিলার ১৩/৩-এস এর ১৪ আরবি হতে ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন দায়িত্বাধীন চান্দা নামক স্থান হত ১,৪০,০০০ ভারতীয় ঔষধ আটক করে।
এছাড়াও, সুলতানপুর বিওপির বিশেষ আভিযানিক দল মেইন পিলার ১৫/৫ এস হতে ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলারোয়া থানাধীন দায়িত্বাধীন তালশাড়ি নামক স্থান হত ১,৪০,০০০ ভারতীয় ঔষধ আটক করে। সর্বমোট ৫,১৪,২০০/ (পাঁচ লক্ষ চৌদ্দ হাজার দুইশত) টাকা মূল্যের বিভিন্ন চোরাচালানী মালামাল আটক করে। চোরাকারবারী কর্তৃক বর্ণিত মালামাল শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত হতে বাংলাদেশে পাচার করায় জব্দ করা হয়।
এভাবে ভারতীয় দ্রব্য সামগ্রী চোরাচালানের কারনে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্থ হবার পাশাপাশি দেশ উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে। বিজিবি টহলদল কর্তৃক উদ্ধারকৃত ভারতীয় মালামাল সাতক্ষীরা কাস্টমস এ জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও মাদকদ্রব্য সমূহ সাতক্ষীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে সাধারণ ডায়েরী করে পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংসের নিমিত্তে ষ্টোরে জমা হয়েছে।