আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুরে অসামাজিক কাজের লিপ্ত অবস্থায় পলাশ রায়(৪০) নামে এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে ১১ টার খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। লম্পট পলাশ রায় একই এলাকায় অবঃ শিক্ষক কানাইলাল রায়ের ছেলে। এ ঘটনা অভিযুক্ত পলাশ রায় অস্বীকার করে বলেন তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
তবে স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় যুবক দেবাশীষ, হরিদাস, সাইফুল্লাহ সহ আরো অনেকেই বলেন অসামাজিক কার্যকলাপের সময় পলাশ রায়কে তারা হাতেনাতে ধরে ফেলে। এ সময় গণধোলাই দিয়ে তাকে বেঁধে রেখে ইউপি সদস্য শিমুল হোসেনকে খবর দেওয়া হয়। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার বিষয় অবগত হন এবং নিজ জিম্মায় পলাশ রায়কে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এদিকে অসামাজিক কার্যকলাপে অভিযুক্ত বৌমা কাউকে কিছু না জানিয়ে গভীর রাতেই বাপের বাড়িতে চলে যান বলে সকালে স্থানীয়রা জানতে পারে।
আরো জানান, এলাকার কিশোরী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী নারী পলাশ রায়ের যৌন অত্যাচারে অতিষ্ঠ। ঘরের বউ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মহিলা ও মেয়েরা রাত হলে পলাশ রায় এর আতঙ্কে থাকে। স্থানীয়রা আরো বলেন এই মফস্বল ও শান্তিপ্রিয় এলাকায় পলাশ রায়ের মত চরিত্রহীন ব্যক্তিকে থামানো না গেলে এলাকার কোন নারীই নিরাপদ নয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য শিমুল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন পলাশ রায়কে তার বৌমা মোবাইলে মেসেজ করে তার ঘরে ডাকে। অন্ধকার রাতে লম্পট পলাশ রায়কে চোরের মত যেতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। স্থানীয়রা তার পিছু নিয়ে সর্বশেষ তার বৌমার ঘর থেকে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় তাদেরকে আটক করে। বিষয়টি জানতে পেরে আমি সেখানে উপস্থিত হই। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে। মীমাংসা না হলে পরবর্তীতে প্রশাসনের সহযোগিতা নেয়া হবে।
ইউপি সদস্য সন্ধ্যা রানীর স্বামী উত্তম মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পলাশ রায়ের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় পলাশ রায়ের অত্যাচারে তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যু হয়। পরে আবারও প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে তার আপন শালিকাকে বিয়ে করে ঘর সংসার করছে। অভিযুক্ত পলাশ রায় বলেন, তার ভাগ্নে বৌমা রাতে নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে করছিল। ঘটনার সময় রাত ১১টার দিকে পলাশকে বৌমা মোবাইলে তার বাড়িতে ডাকে। পলাশ রায় তার ভাগ্নের বাড়িতে পৌঁছানো মাত্রই স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে ইউপি সদস্য শিমুল হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে বলে জানান তিনি। এদিকে অভিযুক্ত পলাশ রায়ের বিরুদ্ধে এহেন অপরাধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ তার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।