শেখ আমিনুর হোসেন : রাতের আঁধারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগায় এক ব্যবসায়ির স্বপ্ন ভেঙে গেছে। পুড়ে ভষ্মীভূত হয়েছে তার ৪০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল। রবিবার (১৬ মার্চ ‘২৫) দিবাগত গভীর রাতে সাতক্ষীরা সদরের ব্যাংদহা বাজারের “ভাই বোন ভ্যারাইটি স্টোর্সে ” এ ঘটনা ঘটে। তবে বাজারে তিনজন নৈশপ্রহরী থাকার পরও দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের বিপুল পরিমান মালামাল আগুণে পুড়ে ভষ্মীভূুত হলেও নৈশপ্রহরীরা ভোর বেলায় জানতে পারার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে।
আশাশুনি উপজেলার কামালকাটি গ্রামের ও সাতক্ষীরা সদরের ব্যাংদহা বাজারের “ভাই বোন ভ্যারাইটি স্টোর্সে”র স্বত্বাধিকারী অশ্বিনী কুমার দাস সাতক্ষীরার সকালকে জানান, ২০২১ সাল থেকে ব্যাংদহা বাজারের আইয়ুব আলীর কাছ থেকে মাসিক তিন হাজার টাকা ভাড়া নিয়ে মুদিখানা ও কসমেটিকস এর খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি। রবিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান।
সোমবার (১৭ মার্চ ‘২৫) ভোর ৫টা ১ মিনিটে বাজারের নৈশ প্রহরী তার দোকানে আগুন লেগেছে মর্মে তাকে অবহিত করেন। সোয়া ৫টার দিকে তিনি মটর সাইকেলে দোকানে আসেন। স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তার দোকানের দুই লাখ ২০ হাজার টাকার সিগারেট, ৪০০ গেজ কোমল পানীয়, ৪২ হাজার টাকার সোয়াবিন ও সরিষার তেল, এক লাখ ৫৬ হাজার টাকার তিনটি ফ্রিজ, নগদ টাকাসহ ৪০ লাখ টাকার কসমেটিকস ও মুদি খানার মালামাল পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।
সকালে সাতক্ষীরা সদর ও আশাশুনি থেকে ফায়ার সিভিল ডিফেন্স এর দুটি টিম ঘটনাস্থলে আসে। ব্যাংদহা বাজার কমিটির সভাপতি জমায়েত সানা সাতক্ষীরার সকালকে জানান, বাজারের মসজিদে নামাজ পড়তে আসা এক মুসল্লি তাকে আগুন লাগার বিষয়টি জানান। মসজিদের মাইক থেকে আগুণ লাগার বিষয়টি প্রচার করায় স্থানীয় শতাধিক লোক এসে বাতি ও কলসিতে করে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে ফায়ার সিভিল ডিফেন্স এসে আগুন নেভানোর শেষ কাজ করে।
তবে এটা দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত তা তদন্ত হওয়া উচিত। তবে সোমবার সকাল ১১টায় বাজারের চাতালে জরুরী সভা ডেকে অশ্বিনী কুমার দাসকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা ফায়ার সিভিল ডিফেন্স এর পরিদর্শক নুরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত ছাড়া আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাবে না। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক সাতক্ষীরার সকালকে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।