বুধবার , ১৯ মার্চ ২০২৫ | ৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. আইন আদালত
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আশাশুনি
  4. কলারোয়া
  5. কালিগঞ্জ
  6. কৃষি
  7. খুলনা
  8. খেলা
  9. তালা
  10. দেবহাটা
  11. বিনোদন
  12. যশোর
  13. শিক্ষা
  14. শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি
  15. শ্যামনগর

মাদক চোরাচালান ও মানব পাচারের রুট পয়েন্ট সুন্দরবন

প্রতিবেদক
satkhirar sakal
মার্চ ১৯, ২০২৫ ১১:৫১ অপরাহ্ণ

জি.এম.আমিনুর রহমান, উপকূলীয় প্রতিনিধি শ্যামনগর : মাদক চোরাচালান ও মানব পাচারের রুট পয়েন্ট সুন্দরবন। পাশ্ববর্তী দেশ ভারত যেখানে মাদক, অবৈধ অস্ত্র নারী ও শিশু পাচারের এক বিশেষ অংশ আর এই ভারত হতে নানা ধরনের পণ্য বাহকম্যান কিছু চোরাচালানে জড়িত অসাধু মানুষ নানা অপকর্মে জড়িত, তবে দুই বাংলার বর্ডারে বিএসএফ ও বিজিবি একটু নিরাপত্তা জোরদার করায় চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে পাঁচ নদীর মোহনা দিয়েই ব্যবহার হচ্ছে সুন্দরবন।

আর এখন প্রতিনিয়ত প্রায় সুন্দরবন হতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের অভিযানে সুন্দরবন থেকে আটক হচ্ছে নানা রকম অবৈধ মালামাল যা প্রশংসনীয় তবে দুঃখজনক হলে ও সত্য বড় ধরনের চোরাচালান ধরাছোঁয়ার বাহিরে বলে জানান সচেতন মহল। সাতক্ষীরার শ্যামনগরের কৈখালী ইউনিয়ন ও রমজাননগর ইউনিয়নের সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সীমান্ত সংলগ্ন কয়েকটি অংশকে নিরাপদ রুট (যাত্রাপথ) হিসেবে বেছে নিয়েছে চোরাকারবারিরা। প্রশাসনের সহায়তায় এই রুট ব্যবহার করে তারা ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু, মাদকসহ নানা পণ্য আনছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

মাঝে মধ্যে দু-চারটি চালান আটক হলেও মূল হোতারা থাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জনপদের এ অংশটি এখন চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, সুন্দরবন সংলগ্ন সীমান্তপথে চোরাচালানের বিষয়টি জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের কাছে ‘ওপেন সিক্রেট’। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাঠ পর্যায়ে কর্মরতদের অনেকেই বিষয়টি জানেন। তারপরও নিয়ন্ত্রণ দূরের কথা অজ্ঞাত কারণে দিনে দিনে তা বেড়েই চলেছে।

চোরাচালান পণ্যের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে মাঝে মধ্যেই সংঘর্ষ বাঁধছে। সুন্দরবন সংলগ্ন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী কৈখালীর পাঁচ নদীর মোহনা, ভদ্রখালী, শৈলখালী, কাটামারী, নিদয়া, নৈকাটি, রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চী, গোলাখালী, টেংরাখালী সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার স্থানীয়দের পাশাপাশি চোরাকারবারিদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, বর্তমানে রাজনীতির পট পরিবর্তন ও দুই বাংলার সম্পর্কে টানাপোড়েনে ভারতের বিএসএফ ও বাংলাদেশ বিজিবির কড়া নজরদারির কারণে নুরনগর, কৈখালী স্থলভাগ দিয়ে চোরাচালানের সুযোগ কম, ঝুঁকিও বেশি।

তাই সীমান্তবর্তী কালিন্দীনদী ও রায়মঙ্গল নদীকে মাদক ও নারী পাচারকারীরা চোরাচালানের ‘মূল পয়েন্ট’ হিসেবে বেছে নিয়েছে। সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল কৈখালীর স্থানীয় পেশায় জেলে- বাওয়ালী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েজন প্রতিবেদককে বলেন, বনদস্যুদের উপদ্রব না থাকায় সুন্দরবনের নৌপথ চোরাচালানের জন্য নিরাপদ,এছাড়া এ রুটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহলেরও ভয় থাকে না। এ সুযোগে নারী ও শিশু পাচার ভারতীয় গরু, মাদকসহ নানা পণ্য নির্বিঘ্নে বাংলাদেশে ঢুকছে।

একইভাবে বাংলাদেশ থেকে ওষুধসহ নানা পণ্য ভারতে পাচার হচ্ছে। রমজাননগর ও কৈখালী ইউনিয়নের চোরাচালানের মালামাল পরিবহনে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, ভারতীয় চোরাকারবারিরা গরু ও মাদকের চালান কচুখালী, বকচরা, তালপট্রি ও হোগলডুরি এলাকায় রেখে যায়। বড় চালান রায়মঙ্গল এবং ছোট চালান কালিন্দি নদী সংলগ্ন পাঁচ নদীর মোহনা দিয়ে সুন্দরবনে ঢুকে যায়। স্থানীয় চোরাচালান চক্রের সদস্যরা মাছ বা কাঁকড়া শিকারের অজুহাতে স্পট থেকে সেই চালান সংগ্রহ করে। সুবিধাজনক সময়ে সেগুলো কৈখালীর দক্ষিণ কৈখালী আদম পাড়া, পশ্চিম কৈখালীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কার সিদ্দিক গাজীর বাড়ি সংলগ্ন ও টেংরাখালী স্লুইসগেট, আলম চেয়ারম্যান ও আব্দুর রহমানের বাড়ি ছাড়াও গোলাখালী, কালিঞ্চি এবং পশ্চিম কৈখালী বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে পাচার করে।

এর আগে ভারতের শমসেরনগর, কালিতলা, ঘুমটে ও গোবন্দকাঠি থেকে মাদকের বস্তা এবং গরু নৌকায় উঠিয়ে দেওয়া হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চোরাকারবারিতে জড়িত কয়েকজন জানান, পাঁচ নদীর মোহনা থেকে কিছুটা দূরত্বে বনবিভাগের কৈখালী স্টেশন, রায়নগর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও কৈখালী বিজিবি ক্যাম্প। এই অংশ দিয়ে চোরাচালানে ঝুঁকি রয়েছে।

তবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগসাজশ করেই তারা চোরাচালানের কাজ করছেন বলে জানান পরিচয় দিতে অনিচ্ছুক অনেকেই। এ কাজ নির্বিঘ্ন করতে তারা ‘লাইন ম্যান’ (বাধাহীনভাবে মালামাল পরিবহন)’ দেয়। তাদের গরু প্রতি একহাজার থেকে তিন হাজার টাকা দেওয়া হয় বলে জানান।

এ বিষয়ে বিজিবি কৈখালী ক্যাম্প কমান্ডার বলেন, এমন অনৈতিক কাজের সঙ্গে বিজিবির কোনো সদস্য জড়িত আছে এমন অভিযোগ এখন পর্যন্ত কেউ করেনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোল্ল্যা হুমায়ুন কবির বলেন, শ্যামনগর থানা পুলিশ দিনরাত ২৪ ঘন্টা জনগণের জানমাল নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছে, পাশাপাশি মাদক, চোরাকারবারি মানবপাচার প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত, এছাড়াও সুন্দরবন-সীমান্ত এলাকা নজরদারির জন্য বিজিবি, নৌ-পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী কাজ করছে। আমদের কাছে এ বিষয়ে নানা ধরনের অভিযোগ শোনা গেলে ও সরাসরি নির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছি না, সঠিক তথ্য ও নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

সর্বশেষ - সাতক্ষীরা সদর

আপনার জন্য নির্বাচিত

মুন্সিপাড়ায় সততা এন্টারপ্রাইজ এন্ড ট্রেডিংয়ের উদ্বোধন

মেহেদীবাগ এলাকার জলাবদ্ধতায় জন-জীবন হুমকির মুখে, নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা

আসাদুজ্জামান বাবু’র সাথে পৌর ০৯ নং ওয়ার্ড আ.লীগের নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময়

নলতায় শেরে বাংলা ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে তিন সন্তানের জননীর মৃত্যু

আশাশুনিতে ৩ ইটভাটা মালিককে আড়াই লক্ষ টাকা জরিমানা

আশাশুনিতে বজ্রপাতে শ্রমিকের মৃত্যু

কালিগঞ্জে এক মাদ্রাসায় পঁচা গোবর ঢেলে পরীক্ষা বন্ধ করলো বখাটেরা

পারুলিয়ায় দরিদ্র রোজাদারের মাঝে ইফতার সমগ্রী বিতরণ

ইছামতিতে বাংলাদেশ-ভারতের নিজ সীমানায় প্রতিমা বিসর্জন

পাইকগাছায় লতা ইউনিয়নে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ